Hilsa

Hilsa: ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা হচ্ছে খোকা ইলিশ

খোকা ইলিশ ধরাও নিষিদ্ধ। জানেন মৎস্যজীবীরাও। কিন্তু তাদের সাফাই, ইলিশ তো ফরাক্কায় মেলেই না বড় একটা। তাই যা পাচ্ছি তাই ধরছি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ফরাক্কা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০৭:০৩
জাল ফেললেই উঠছে ইলিশ।

জাল ফেললেই উঠছে ইলিশ।

ইলিশের বান ডাকল ফরাক্কার গঙ্গায়। দৈনিক ১৬ কুইন্ট্যাল করে ইলিশ আসছে ফরাক্কার বাজারে। বাংলাদেশে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হতেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে পুজোর উৎসবের মরসুমে দেদার ইলিশ মিলতে শুরু করেছে ফরাক্কার গঙ্গায়। দশমীর দিন থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠছে ফরাক্কা থেকে নিমতিতা পর্যন্ত গঙ্গায় প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। বেশির ভাগ মৎস্যজীবী ফাঁস জাল ও টিনের ডোঙা নিয়ে জাল ফেলতে ফেলতে যাচ্ছেন নদী বেয়ে। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেই জাল গোটাতে গোটাতে ফিরছেন। ফাঁস জালে ইলিশ ধরা বেআইনি। খোকা ইলিশ ধরাও নিষিদ্ধ। জানেন মৎস্যজীবীরাও। কিন্তু তাদের সাফাই, ইলিশ তো ফরাক্কায় মেলেই না বড় একটা। তাই যা পাচ্ছি তাই ধরছি।

ফরাক্কার মাছের পাইকারি ব্যবসায়ী রঞ্জিত সরকার বলছেন, “এক সপ্তাহ থেকে ১৫ থেকে ১৬ কুইন্ট্যাল করে ইলিশ আসছে স্থানীয় গঙ্গার জেলেদের কাছ থেকে। তবে এই ইলিশের বেশির ভাগটাই ববি ইলিশ অর্থাৎ ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রামের মধ্যে। পাইকারি বাজারে দাম ১৮০ টাকা কিলো। খুচরো বাজারে ২২০ থেকে ২৫০। এক কিলোর আশপাশে গঙ্গার মাছও মিলছে ফরাক্কার গঙ্গায়। তবে তুলনায় কম, দামও ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলা দেশে কঠোর ভাবে ইলিশ ধরা বন্ধ। তাই আশা করছি কালী পুজো পর্যন্ত ফরাক্কার গঙ্গায় আরও ইলিশ মিলবে। দামও কমবে কিছুটা।”

Advertisement

ইলিশ আমদানির খবর পেয়ে এই এলাকার সর্বত্র সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় বাড়ছে গঙ্গা পাড়ে। জেলেদের কাছ থেকে সরাসরি ইলিশ কিনে নিচ্ছেন তাঁরা নদীর পাড় থেকেই। পদ্মা নদী নিমতিতার আগে মিশেছে গঙ্গায়। সেই পদ্মার বাঁকা পথেই ইলিশের ঝাঁক ঢুকছে ফরাক্কায়।

ইলিশ মিলছে খবর পেয়ে আশপাশ থেকে কয়েকশো মৎস্যজীবী গঙ্গায় নেমে পড়েছেন ইলিশের খোঁজে। নিমতিতা, ধুলিয়ান, হাজারপুর, অর্জুনপুর লাগোয়া সমস্ত ঘাটে ভোর থেকেই মৎস্যজীবীদের ভিড়। বাংলাদেশে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মায় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করার কারণেই পদ্মা বেয়ে এত বিপুল পরিমাণ ইলিশ আসতে পারছে ফরাক্কার গঙ্গায়। এই সময় সাগরের নোনা জল থেকে ইলিশ নদীর মিষ্টি জলে ডিম ছাড়তে আসে। মৎস্য দফতরের মতে, একটি মা ইলিশ ৪ থেকে ৫ লক্ষ ডিম পাড়ে। এর মাত্র ১০ শতাংশ বাঁচানো যায় তা হলে ৩৭ হাজার টন পোনা ইলিশ মিলবে। এই পোনা বাঁচাতেই বাংলাদেশে ইলিশ ধরা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। আমাদের রাজ্যে খাতা কলমে নিষিদ্ধ হলেও তা মেনে চলার ক্ষেত্রে নজরদারি নেই।

হাজারপুরে মৎস্যজীবী বুধন হালদার বলছেন, “গত ৩ দিনে প্রায়২৮ কিলো ইলিশ ধরা পড়েছে আমার জালে। বেশির ভাগেরই সাইজ ৩০০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম। ২৫০- ৩০০ সাইজেরও আছে। বড় ইলিশের সংখ্যা মাত্র ৪টি। তবে দিনের চেয়ে সন্ধ্যে ও ভোরের দিকে পাওয়া যাচ্ছে বেশি।”

আরও পড়ুন
Advertisement