Black Fever

কালাজ্বরের আতঙ্ক ফিরছে নদিয়ায়, ২০১৮-এর পর আবার সন্ধান মিলল দুই আক্রান্ত রোগীর

নদিয়ার বগুলায় কালাজ্বর আক্রান্ত এক মহিলা দাবি করেছেন, তিনি দশ বছর আগেও এক বার কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বার আবার নতুন করে কালাজ্বরে আক্রান্ত হলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:২৫
representational image

— প্রতীকী ছবি।

আবার কালাজ্বরের আতঙ্ক ফিরছে রাজ্যে? এ বারও ঘটনাস্থল সেই নদিয়া জেলা। শেষ বার ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে কালাজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছিল নদিয়া জেলায়। তার পর আবার ২০২৩-য়ে দু’জন কালাজ্বর আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। নতুন করে কালাজ্বর আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলায় উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর। স্থানীয় আশাকর্মীদের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি, প্রকট এবং প্রচ্ছন্ন উপসর্গযুক্ত কালাজ্বর রোগীদের চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়েছে।

Advertisement

নদিয়ার হাঁসখালি এবং তেহট্ট ২ ব্লকে কালাজ্বর আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলায় ব্লক দু’টিকে ‘এন্ডেমিক’ ব্লকের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ব্লকগুলিতে ব্যাপক স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ ছাড়াও বাহক নিধনে মাছিনাশক স্প্রে করা হচ্ছে সংক্রমিত এলাকাগুলিতে।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে নদিয়ার কালিগঞ্জ ব্লকে শেষ বারের মতো কালাজ্বর আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। কোনও জায়গায় কালাজ্বর রোগের সন্ধান পাওয়া গেলে সেই ব্লককে এন্ডেমিক ব্লক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সব মিলিয়ে নদিয়া জেলায় এন্ডেমিক ব্লকের সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১১। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দীর্ঘ দিন নদিয়ায় দেখা যায়নি কালাজ্বরের বাহক বালু মাছি। নদিয়ার পাঁচটি ব্লক চিহ্নিত করা গিয়েছে, যেখানে আবার বালুমাছির প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। মাছিগুলি যাতে কোনও ভাবেই বংশবিস্তার করতে না পারে, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে।

নদিয়া জেলার সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পরাশর পোদ্দার বলেন, ‘‘জেলার দু’টি ব্লকে কালাজ্বরের প্রকোপ দেখা গিয়েছে। এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিচ্ছে।’’ বগুলায় কালাজ্বর আক্রান্ত বধূর দাবি তিনি এক দশক আগেও এক বার কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি বলছেন, ‘‘দশ বছর আগেও কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলাম। দ্বিতীয় বার একই রোগে আক্রান্ত হলাম। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে যোগাযোগ রাখছে। দেখা যাক কী হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement