উৎসব কর্মকারের তৈরি দুর্গা মূর্তি। নিজস্ব চিত্র।
কাদার দলা নিয়ে ভাঙা-গড়ার খেলায় আস্ত প্রতিমা গড়ে ফেলেছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। আর সেই প্রতিমাতেই সে শুরু করেছে দুর্গা পুজো। এই ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার।
ফুলিয়ার বাসিন্দা উৎসব কর্মকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। বাবা বিপ্লব কর্মকার বাবার পেশা দিনমজুর। মা রাধারানি সামলান বাড়ির কাজকর্ম। ছোটবেলা থেকেই উৎসবের ইচ্ছা, তার বাড়িতেও ফুটুক শারদোৎসবের আলো। কিন্তু খরচের যা বহর তাতে দিনমজুরের পরিবারে দুর্গা পুজো! ছেলের ইচ্ছা শুনে কিছুটা থমকে গিয়েছিলেন বাবা বিপ্লব। ওই বয়সেই বিকল্প ভাবনা ভেবেছিল উৎসব। ছোট থেকেই তার আগ্রহ ছিল নিজের হাতে দেবদেবীর মূর্তি গড়ায়। তাই অন্যান্য শিল্পী যখন প্রতিমা তৈরি করতেন সেই কাজ আগ্রহ ভরে দেখত সে। আর বাড়িতে এসে তা নিজে হাতে করার চেষ্টাও করত সে। উৎসব বলছে, ‘‘আমি এক সময় একের পর এক মাটির মূর্তি তৈরি করতাম। আর ভেঙে ফেলতাম। এ ভাবে চলতে চলতেই এক দিন একটা দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে ফেলেছিলাম। সকলে বলল, ভাল হয়েছে। তার পর থেকে প্রতি বছর নিজে হাতে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে বাড়িতে পুজো করি।’’
ছেলের এমন কীর্তিতে গর্বিত মা রাধারানি। তিনি বলছেন, ‘‘প্রথমে আমরা ওকে বকাবকি করতাম। প্রথমে ও চেষ্টা করে একটা দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে। তার পর থেকে ও নিজে নিজেই গত চার বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছে। শুধু দুর্গাই নয়, অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তিও এখন তৈরি করছে উৎসব।’’