Congress

Congress: কংগ্রেস এ বার ৩৫০ কোটির হিসেব চাইল

পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ৩৫০ কোটি টাকা পেয়েছে জঙ্গিপুর পুরসভা এই অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে হিসেব পেশ করার দাবি তুলল কংগ্রেস।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা 
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৩৩
নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের পরে এ বার জঙ্গিপুরের পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে তোপ দাগল কংগ্রেস।

পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ৩৫০ কোটি টাকা পেয়েছে জঙ্গিপুর পুরসভা এই অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে হিসেব পেশ করার দাবি তুলল কংগ্রেস।

Advertisement

এর আগে তৃণমূলেরই ৭ কাউন্সিলার সহ একাধিক নেতা পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে দলের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

দুই দলের আক্রমণের মুখে পুর নির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও চাপে পড়লেন জঙ্গিপুরের পুর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলাম। যদিও সাংবাদিকদের কাছে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোজাহারুল। বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পে বছরে ৪০ কোটি করে টাকা মিলেছে। তার মধ্যে আবাস যোজনা, সড়ক সংস্কার সহ সবটাই রয়েছে। এর বাইরে আম্রুত ও নমামী গঙ্গা প্রকল্পে যে সব অর্থ এসেছে তা পুরসভার এক্তিয়ার ভুক্ত নয়।” অর্থাৎ ৫ বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা পেয়েছে জঙ্গিপুর পুরসভা।

ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে পুর নির্বাচন হবে ধরে নিয়েই পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে একের পর আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এর ফলে শেষ পর্যন্ত মোজাহারুল ইসলামের তৃণমূল ছেড়ে ফের তাঁর পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সিপিএম নেতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সোমনাথ সিংহরায়ের কথায় জল্পনা আরও বেড়েছে। তাঁকে দলে নেবেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। বলেননি না নেওয়ার কথাও। তাঁর কথায়, “মোজাহারুল আবার দলে ফিরবেন কি না তা এখনই বলতে পারব না। দেখি পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় তারপর বলা যাবে।”

যদিও মোজাহারুলের কথায়, “আমি তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলেই থাকব। আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এখানকার নেতারা কে কী বলল কিছুই যায় আসে না আমার।”

দুদিন আগেই জাকির অনুগত ৭ কাউন্সিলর ও একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, পুর এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। বরং পুর প্রধানের পকেট ভরেছে এবং হিটলারি কায়দায় পুরপ্রধান তাঁর আখের গুছিয়েছেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি হাতে নিয়ে এরা দুর্নীতি করেছে। ব্যাঙ্ক ব্যালান্স ও পকেট ভরিয়েছে।”

বুধবার একই ভাবে কংগ্রেসের মহকুমা সভাপতি হাসানুজ্জামানের অভিযোগ, “একটি সূত্রে জেনেছি তাঁর ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রায় সাড়ে ৩শো কোটি টাকা পেয়েছেন মোজাহারুল ইসলাম পুরসভায় বিভিন্ন প্রকল্পে। এ ব্যাপারে আরটিআই করে পুরসভায় আয় ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ হিসেব চাওয়া হচ্ছে কংগ্রেসের তরফে। পুর নির্বাচনের আগে মানুষকে তা জানাতে হবে।”

এ দিন তার জবাব দিয়েছে মোজাহারুল সাংবাদিকদের কাছে।

তিনি বলেন, “পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমি পুরোপুরি স্বচ্ছ রয়েছি। আমাদের যাবতীয় হিসেবপত্র আপ টু ডেট রয়েছে। ১০০টা কাজ করলে ২০০টা যে ভুল হবে না, তা তো নয়। আমি কোনও গোষ্ঠীতে নেই।’’

তিনি জানান, ‘‘আমরা ঠিক ভাবে আছি,স্বচ্ছ ভাবে চলছি। কয়েক দিনের মধ্যে ১০ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদাররা তো আমার কাছে আসবেই। তারা কাজ বুঝবে। আমাদের যারা ইঞ্জিনিয়ার আছে তাদের সঙ্গে কথা বলবে। ঠিকাদাররা অফিসে তো আসবেন না এ কেমন কথা?’’

আরও পড়ুন
Advertisement