—প্রতীকী চিত্র।
দলনেত্রীর জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান। সেখানেও রাজ্যের শাসক দলের ‘গোষ্ঠীকোন্দল’ প্রকাশ্যে চলে এল। প্রাক্তন সভাপতি আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূলের নেতারা। তবে ডাক পেলেন না স্থানীয় ব্লক সভাপতি। জলঙ্গির ভাদুরিয়াপাড়ার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আরিফ বিল্লাহ। এ দিন বিকেলে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার, মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান, জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল। কিন্তু অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি জলঙ্গির একাংশের ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোহাম্মদ মাসুম আলিকে। মাসুমের দাবি, তাঁকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
জলঙ্গিতে তৃণমূলের কোন্দল অবশ্য নতুন ঘটনা নয়। গত লোকসভা ভোটের সময় জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহ ও ব্লক তৃণমূল নেতা রাকিবুল ইসলামের ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এসেছিল। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, সম্প্রতি জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে তাঁর একদা ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত জলঙ্গি দক্ষিণ অঞ্চলের সভাপতি মাসুমের ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছে। এই ‘সুযোগে’ বিধায়কের ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে উঠেছেন আরিফ। এমনকি, এমন জল্পনাও নাকি শোনা যাচ্ছে, মাসুমকে সরিয়ে সভাপতি করা হবে আরিফকে। যদিও এ নিয়ে আরিফ মুখ খুলতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা নেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। কোনও পদের জন্য এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করিনি।’’ তা হলে ব্লক সভাপতিকে ডাকা হল না কেন? আরিফের দাবি, ‘‘তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রেও তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। কেন আসেননি, তা তিনিই বলতে পারবেন।’’
মাসুমের পাল্টা দাবি, তাঁকে কেউ আমন্ত্রণই জানাননি। এমনকি, ফোনেও কেউ কিছু বলেননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমন্ত্রণপত্রে কেন নাম দিয়েছেন, তা আয়োজকরাই ভাল বলতে পারবেন।’’ অনুষ্ঠান শেষে অপূর্ব বলেন, ‘‘মাসুম আলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেই জানতে পেরেছি। আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নামও দেখলাম। যাঁরা এলেন না, তাঁরা পিছিয়ে পড়লেন।’’