প্রতীকী ছবি।
পাট হল জেলার অর্থকরী ফসল। আর তার দামের উপরে অনেকটাই নির্ভর করে মুর্শিদাবাদের পুজোর বাজার। বিগত বছর গুলিতে দেখা গিয়েছে পাটের দাম যখনই কম থেকেছে, তখনই পুজোর বাজারে প্রভাব পড়েছে। তবে এ বছর পাটের দাম অনেকটাই ভাল আছে। সেই সঙ্গে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। ফলে পুজোর বাজারে ভিড়ের আশা থাকলেও সে ভাবে এত দিন সাড়া মেলেনি।
তবে মহালয়ার দিন থেকে বাজারে লোকজন বাড়ছে। বহরমপুর ক্লথ মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিষ্ণু দত্ত বলেন, ‘‘এবারে পাটের দাম ভাল আছে। মহালয়ার দিন থেকে বাজারে লোকজনের আনাগোনা বাড়ছে। ফলে আমরা আশাবাদী শেষ মুহূর্তে পুজোর বাজার জমে উঠবে।’’ বহরমপুরের খাগড়ার বস্ত্র ব্যবসায়ী অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে গিয়েছে। পাটের দামও ভাল আছে। আশা করছি, পুজোর শেষের ক’দিন গ্রামের লোকজন পুজোর বাজার করতে আসবেন।’’
গত বছর পাটের দাম সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা কুইন্টাল ছিল। কিন্তু এ বছর প্রথম থেকেই পাটের দাম ভাল রয়েছে। জমি থেকে পাট ওঠার প্রথম দিকে ৮-৯ হাজার টাকা কুইন্টাল দাম হয়েছিল। পরে সেই দাম কমে কুইন্টাল পিছু ৫ হাজার টাকা হয়েছিল। ফের এখন ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা কুইন্টাল দামে পাট বিক্রি হচ্ছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বারে পাটের দাম ভাল আছে।
মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্সের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল হল পাট। তার দামের উপরে পুজোর বাজার অনেকটাই নির্ভর করে। সেই পাটের দাম ভাল আছে। তার পরেও প্রথম দিকে পুজোর বাজার খুবই খারাপ ছিল। তবে এখন পুজোর বাজারে লোকজন আসছেন, তা মন্দের মধ্যে ভাল। তবে আমরা আশাবাদী পুজোর বাজারে খরা কাটবে।’’
তবে পাটের দাম বেশি হলেও করোনা, লকডাউনের সময়ের সমস্যার পুরনো কথা মনে করে অনেকেই টাকা খরচের সাহস পাচ্ছেন না। যেমন হরিহরপাড়ার চাষি সীতানাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘লকডাউন ও করোনা গত বছর থেকেই সকলের কোমর ভেঙে দিয়েছে। পাটের দাম এ বারে ভাল আছে ঠিকই। তবে তার সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। যার ফলে বাজারে পুজোর কেনাকাটা করতে যাব কিনা তা ভাবতে হচ্ছে বৈকি।’’ দৌলতাবাদের বাসিন্দা কিশোর মণ্ডল বলেন, ‘‘পাটের দাম ভাল রয়েছে। পুজোর বাজার করতে সুবিধা হচ্ছে।’’