উৎসবের মরসুমে খেয়েও বশে রাখা যাবে ওজন। কী ভাবে?
চোখের সামনে লোভনীয় পদ থাকবে, আর তা দেখে খেতে ইচ্ছা করবে না, তা আবার হয় নাকি! স্বাস্থ্য সচেতন হলেও উৎসবের আবহে ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার খাওয়া হয়েই যায়। নিমন্ত্রণবাড়ি হোক বা পার্টি, সেখানে গিয়ে না-ও বলা যায় না। কিন্তু একদিন মন ভরে পছন্দসই তেল-মশলাদার খাওয়া মানেই সে ক্যালোরি খরচ করতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে। তবে কয়েকটি উপায় অনুসরণ করলে পছন্দের সমস্ত খাবার খেয়েও ওজন বশে রাখা সম্ভব। তার মধ্যে একটি হল পরিমিত খাওয়া। বিষয়টি কি? কষিয়ে রাঁধা পাঁঠার মাংস দেখে খেতে ইচ্ছা করলে এক থেকে দু’পিস। তার বেশি নয়। মানে লোভনীয় পদ খাওয়া যাবে, তবে মেপে । এ বার প্রশ্ন হল, জিভে জল আনা খাবার চোখের সামনে দেখেও একটু একটু খাওয়া যায় নাকি? কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চললে, তাও সম্ভব।
১. পছন্দের একাধিক পদ থাকলে সবটাই পাতে নিতে পারেন। তবে অল্প অল্প করে। যদি কোনও একটি পদ একটু বেশি খেতে ইচ্ছা হয়, তা হলে কিন্তু অন্য পদটি বাদ দিতে হবে। ওজন বশে রাখার অন্যতম শর্তই ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ।
২. তেল-মশলাদার খাবার খেতে ভাল হলেও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। এতে ক্যালোরিও বেশি। এ ক্ষেত্রে স্যালাড খেয়ে পেট খানিকটা ভরিয়ে নিলে, বাদবাকি খাবার কিন্তু চাইলেই বেশি খেতে পারবেন না।
৩. খাওয়ার কিছুটা আগে এক থেকে ২ গ্লাস জল খেয়ে নিতে পারেন। এতে পেট কিছুটা ভরে যাবে। বাড়তি খিদে না থাকলে কেউই বেশি পরিমাণে খাবেন না।
৪. দ্রুত না খেয়ে ধীরেসুস্থে চিবিয়ে খেলে খাবার ভাল হজম হয়। একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে ফেলার প্রবণতাও কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ থাকতে খাবার ভাল ভাবে হজম হওয়া, বিপাকহার সঠিক থাকা দরকার।
৫. উৎসব মানেই হরেক মিষ্টি। তবে এতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। ওজন বশে থাকলে মিষ্টি এড়িয়ে চলা ভাল। তবে যদি খেতেই হয়, বাড়িতে স্বাস্থ্যকর কোনও মিষ্টির পদ বানিয়ে নিতে পারেন।