ফাইল চিত্র।
ভাগীরথীর জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকায় শনিবার নবদ্বীপের মাজদিয়া পানশিলা এলাকার ১০টি পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের স্থানীয় একটি স্কুলে আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে।
ক্রমশ বাড়়ছে ভাগীরথীর জলস্তর। শুক্রবার তা ৮.৮৪ মিটারে দাঁড়িয়েছিল। শনিবার বেড়ে হয় ৮.৮৭ মিটার। তবে এখনও ৯.০৫ মিটারের চূড়ান্ত বিপদসীমার থেকে বেশ কিছুটা নীচেই রয়েছে জল। চূর্ণীর জলস্তর শুক্রবার কিছুটা নিম্নমুখী থাকলেও শনিবার চূর্ণী এবং মাথাভাঙার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জলস্তরের উর্ধ্বগামী হওয়া চিন্তায় রেখেছে সকলকেই।
ভারি বৃষ্টি আর সে ভাবে হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু বৃষ্টি হয়েছে। মাঝে কিছুটা নামার পরেও শুক্রবার থেকেই ফের বাড়তে শুরু করেছে জলস্তর। এখনও পর্যন্ত মূলত নদী পাড়ের নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। যেখানে বেশিরভাগই কৃষি জমি যেমন আছে আবার ফাঁকা জমিও রয়েছে। জনবসতি এলাকা নদীর জল ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়ার মত ঘটনা ঘটেনি।
নবদ্বীপের হুলোর ঘাটে জলঙ্গির জলে নদীর ধারের রাস্তার একাংশ জলমগ্ন হয়েছে। স্বরূপগঞ্জে নদী পাড়ের রাস্তার একাংশে জল ঢুকেছে। শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়ার কাছে ভাগীরথীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জল উঠে এসেছে কাঁচা রাস্তায়। আনাজ খেতও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে দিন কয়েক ধরেই। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। এর পাশেই রয়েছে জনবসতি। বাড়ির কাছেই চলে এসেছে নদীর জল। এখান থেকে কাউকেই শনিবার পর্যন্ত অন্যত্র সরানোর প্রয়োজন হয়নি। গত কয়েক বছর ধরেই শান্তিপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং গ্রামীণ শান্তিপুরের হরিপুর, বেলগড়িয়া ২, গয়েশপুর পঞ্চায়েতের একাংশ একাধিক বার ভাঙনের কবলে পড়েছে। এ বারও এই এলাকাগুলির উপরে নজর রাখা হচ্ছে আগে থেকেই। এর মধ্যেই ভাঙন হয়েছে শান্তিপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর সাড়়াগড়় এলাকায়। ভাঙন-প্রবন এলাকার বাসিন্দারা নদীর পাড়ে থেকে বন্যার আশঙ্কার মধ্যেই ফের ভাঙনের আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। নবদ্বীপ এবং শান্তিপুর শহরের কিছু নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলি তৈরি রাখা হয়েছে। শান্তিপুরের বিডিও প্রণয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখনও পর্যন্ত কাউকে সরাতে হয়নি। তবে শিবিরগুলি তৈরি রাখা হয়েছে।”