—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ফের কাটমানি আদায়ের চেষ্টা হল সুতিতে। অভিযোগের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ( যদিও আনন্দবাজার এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)।
এর আগে ভাইরাল হয়েছিল সুতির কাশিমনগরের গাজিপুরের একটি ভিডিয়ো, যাতে নিজেকে বুথ সভাপতি বলে পরিচয় দিয়ে নীলিমা দাস নামে এক তৃণমূল নেত্রী টিনু বিবি নামে এক উপভোক্তার বাড়িতে গিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করছেন। তাঁর দাবি আবাস প্রকল্পের টাকা থেকে ওই ‘কাটমানি’ দিতে হবে। সরাসরি তাঁদের দুজনের সঙ্গে কথা বললে দুজনেই ঘটনার কথা স্বীকার করেন। নীলিমা ‘‘ভুল হয়েছে’’ বলে মেনে নেন। পরে সুতি ২ ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী সুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও তিন দিনেও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বার স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যাতে তাদের টাকা চাওয়ার ভিডিয়ো কেউ তুলতে না পারেন তার জন্য রাতের আঁধারে স্থানীয় এক দল নেতা উপভোক্তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রথমে তার অ্যাকাউন্টে আবাস প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে কি না জেনে নিচ্ছেন। অভিযোগ, তার পরেই কারওর কাছে ২০ হাজার, কারওর কাছে ২৫ হাজার টাকা কাটমানি দাবি করছে।
কোনও উপভোক্তা বাধা দিলে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অনেককে মোবাইলে গালি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি। সুতির জগতাই ১ পঞ্চায়েতে জগতাই গ্রামের ঘোষপাড়া, অধিকারী পাড়ার একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ শোনা গেছে এই ভাইরাল ভিডিয়োতে।
সুতি ২ ব্লকের বিডিও অবশ্য বলছেন, ‘‘কোনও উপভোক্তা এখনও সরাসরি অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে অবশ্যই এফআইআর করা হবে।’’ অধিকারী পাড়ার অতরি দাস বলেন, ‘‘৫ জন তৃণমূল নেতা বাড়িতে এসেছিল। জিজ্ঞাসা করল, বাড়ির টাকা ঢুকেছে? কাল সকালের মধ্যে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে।’’ আর এক উপভোক্তা রুনু ঘোষ বলেন, ‘‘স্বামীকে হুমকি দিচ্ছে। সবাই তৃণমূল নেতা।’’
তৃণমূলের সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস বলেন, ‘‘কাটমানি চাইলেই অভিযোগ করুন।’’