Saline controversy

নিদের্শিকা না মেনে রোগীকে ফের স্যালাইন

রবিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা গেল ওই একই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে তা আরএল স্যালাইন নয় বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০৬
ব্যবহৃত নিষিদ্ধ স্যালাইন। পলাশিপাড়া প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

ব্যবহৃত নিষিদ্ধ স্যালাইন। পলাশিপাড়া প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র।

যে সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করার পর মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি-মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল, সেই সংস্থারই স্যালাইন রবিবার ব্যবহার করতে দেখা গেল পলাশিপাড়া প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ‌যদিও সেটি রিঙ্গার্স ল্যাকটেট (আরএল) স্যালাইন নয়। ওই কেন্দ্রে ব্যবহৃত স্যালাইনের নাম ‘এন এস’ । এই ধরনের স্যালাইন সব ধরনের রোগীকে দেওয়া যেতে পারে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, জানুয়ারির ১০ তারিখে সব কেন্দ্রে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও কী ভাবে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করা হল তদন্ত করা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।‌

Advertisement

প্রসঙ্গত, ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ নামে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। মেদিনীপুরে প্রসূতিকে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট (আরএল) স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। মেদিনীপুরের ওই প্রসূতি-মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও আরএল স্যালাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। পরে ওই সংস্থার সব ধরনের স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলাস্তর থেকে মহকুমা, ব্লক স্তরের সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই সেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে রবিবার দাবি করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

কিন্তু তার পরেও রবিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা গেল ওই একই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে তা আরএল স্যালাইন নয় বলে জানা গিয়েছে। এ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল, এক রোগীকে ওই সংস্থার স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তবে বিষয়টি সামনে আসার পর কয়েক মিনিটের মধ্যে ওই স্যালাইনের বোতল খুলে নেওয়া হয়। নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন এবং কখন থেকে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কেউ এ দিন জানাতে অস্বীকার করেন।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপীনাথপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা রোগী রবিবার কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। রোগীর এক আত্মীয় বলেন, “ নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও ওই সংস্থার স্যালাইন দিয়ে ছিক করেননি চিকিৎসক, নার্সেরা। তবে রোগীর অবস্থা ঠিক আছে।”

নির্দেশিকা আসার পরেও কেন ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করা হল? প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল হক বলেন, “নির্দেশিকা আসার পর ওই সমস্ত স্যালাইন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন তা ফের ব্যবহার করা হল তা সোমবার গিয়ে খতিয়ে দেখব।”

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস করেন, “সব হাসপাতালে ১০ তারিখ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন