এই নির্মাণ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ছবি: সামসুল হুদা ।
সরকারি জমি জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের এক শ্রেণির নেতাদের মদতেই এই ঘটনা ঘটছে।
বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারি জমি দখল বা বেআইনি নির্মাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন হয়নি বলে দাবি বিরোধীদের।
গত কয়েক দিন ধরে বাসন্তী হাইওয়ের পাশে ঘটকপুকুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় সেচ দফতরের জমি বেআইনি ভাবে দখল করে নির্মাণ কাজ চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে এখানে কয়েকটি ঝুপড়ি ছিল। সেগুলি ভেঙে খালের মধ্যে কংক্রিটের পিলার দিয়ে পাকা নির্মাণ কাজ হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘শাসক দলের কিছু নেতার প্রত্যক্ষ মদতে এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ চলছে। প্রশাসন সব জেনেও কোনও পদক্ষেপ করছে না।’’ বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অবনী মণ্ডল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে সরকারি জমি দখল বন্ধের কথা বললেও তাঁর দলের নেতারাই টাকা নিয়ে এই কাজ করাচ্ছেন। ভাঙড়ের সর্বত্র একই অবস্থা।’’ আইএসএফের জেলা সভাপতি আব্দুল মালেকের কথায়, ‘‘সরকারি জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ চলছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শাসক দলের মদতেই এই কাজ হচ্ছে।’’
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকাত মোল্লার দাবি বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে বাসন্তী হাইওয়ে সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত শুরু হবে আশ্বাস দেন সওকাত। বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। যাঁরা অবৈধ নির্মাণ করছেন, তাঁদের জেনে রাখা ভাল— সব ভাঙা পড়বে।’’ এ বিষয়ে ভাঙড় ১ বিডিও প্রিয়াঙ্কা বালারও দাবি, লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বিএলএলআরও এবং পুলিশকে বলব, রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’