কেন্দুয়ায় সংঘর্ষের সময়কার দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র
টোল ট্যাক্স আদায়কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কার কেন্দুয়া। ফরাক্কার বিধায়ক মণিরুল ইসলামের অভিযোগ, ইজারা নেওয়ার সময়সীমা শেষহলে গেলেও অন্যায় ভাবে টোল আদায় করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, টোল প্লাজার ইজারাদারের এই জুলুমবাজির প্রতিবাদ করাতেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টোল প্লাজার ইজারাদার সায়ন বিশ্বাস।
রবিবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কেন্দুয়ার ওই এলাকা। শতাধিক লোকজন জড়ো হন ওই এলাকায়। দু’পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। মণিরুলের অভিযোগ, ‘‘আমি টোল প্লাজার ইজারাদারকে বলেছিলাম, আপনারা অন্যায় ভাবে পয়সা নিতে পারেন না। আমি কাগজ দেখতে চেয়েছিলাম। কোন গাড়ির জন্য কত টাকা টোল তার তালিকা প্রকাশ্যে দিতে বলেছিলাম। ওেক ট্রাকচালক অভিযোগ করেছিল, ওই টোল প্লাজায় গাড়ি প্রতি অনেক টাকা নেওয়া হচ্ছে। সেটা সরেজমিনে দেখতে যাওয়ায় আমার উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। এটা কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা করেছে। আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে। আমার নির্বাচনী এজেন্টকেও মারধর করা হয়েছে।’’
টোল প্লাজার ইজারাদার সায়ন বলেন, ‘‘আমি ৭-৮ মাসে আগে জেলা পরিষদ থেকে টোল ট্যাক্সের টেন্ডার পাই। বিধায়ক ভুয়ো অভিযোগ করছেন। টোলের সময়সীমা পার হয়নি। আমি জানতাম না এ সব ঘটবে। ১৫০-২০০ লোক টোলে হামলা চালায়। সে সময় টোলে শুধু মাত্র ৪ জন ছিলেন। আমার অনুরোধ, এর উপযুক্ত তদন্ত হোক।’’
এই ঘটনা নিয়ে ফরাক্কার এসডিপিও আসিম খান বলেন, ‘‘টোল প্লাজার ওখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছিল। আমরা অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছি। অভিযুক্তদের ধরতে চেষ্টা করছি। টোলপ্লাজা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছি। জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিলে তা খোলা হবে। বিধায়ক ওখানে ছিলেন। ওই টোল প্লাজায় বেশি পয়সা নেওয়া হচ্ছিল কি না তা খতিয়ে দেখব।’’ সংঘর্ষে তিন থেকে চার জন জখম বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে তাঁদের কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেও প্রশাসনের দাবি।