হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত ওই ছাত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
ভর সন্ধ্যায় অ্যাসিড হামলার ঘটনা কৃষ্ণনগরে। আক্রান্ত দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। টিউশন থেকে ফেরার পথে হামলা। অভিযুক্ত পাড়ারই এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মেয়েটি। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর থানার অন্তর্গত ঘূর্ণি এলাকার ঘটনা। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিল দীপ্তি বিশ্বাস নামের ওই ছাত্রী। অন্ধকার হয়ে গিয়েছে দেখে দ্রুতগতিতেই বাড়ির দিকে পা চালায় সে। কিন্তু কিছু দূর গিয়ে বোধ হয়, কেউ যেন পিছু নিয়েছে। তাতে ভয় পেয়ে দৌড় লাগায় সে। সামনে একটি ক্লাবঘরে আলো জ্বলতে দেখে ভিতরে ঢুকে পড়ে।
কিন্তু অভিযোগ, মেয়েটির পিছু পিছু ক্লাবঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্তও। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়েটির মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। ঘটনার সময় ক্লাবঘরে বেশ কয়েক জন যুবক উপস্থিত ছিলেন। অ্যাসিড ছিটকে তাঁদের মধ্যে কয়েক জনও আহত হয়েছেন।
ভর সন্ধ্যায় আচমকা এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ক্লাবঘরের ভিতরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। কিন্তু তত ক্ষণে অভিযুক্ত চম্পট দিয়েছে। স্থানীয়রাই আহতদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে মেয়েটির অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
ঘটনার সময় ক্লাবে উপস্থিত যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাতে জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দা অচিন্ত্য শিকারি নামের এক যুবক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মেয়েটিকে তাড়া করতে করতে ক্লাবঘরেও ঢুকে পড়ে সে। সেখানে লোকজন দেখে পিছু হটার বদলে মেয়েটির মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। মেয়েটির পরিবারও অচিন্ত্যকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অচিন্ত্য। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঠিক কী কারণে এই হামলা, এখনও তার সঠিক কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রণয়ঘটিত কারণ থাকতে পারে বলে সন্দেহ।