Deaths

Pamela Suicide: বিবাহিত সানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, পামেলার পাসওয়ার্ডে লুকনো ছিল ত্রিকোণ প্রেমের রহস্য

নেটমাধ্যমে পামেলার অ্যাকাউন্ট থেকেই সানির পরিচয় জানতে পারেন গোয়েন্দারা। নাম ভাঁড়িয়ে পামেলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল সে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২১ ২০:৩৮
পামেলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ধৃতের বিরুদ্ধে।

পামেলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ধৃতের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র

পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলায় শেষ পর্যন্ত হার মানতে হল সানি খান ওরফে শেখ তারুফকে। গত ৫ জুন ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল হাওড়ার বালির কিশোরী পামেলা অধিকারীর। ওই কাণ্ডে নিজের নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সানি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে গলসি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। মোবাইলের সূত্রে ধরেই সানিকে জালে পুরল পুলিশ। তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত

আত্মহত্যা করার আগে নিজের মোবাইলের ছয় সংখ্যার পাসওয়ার্ড হাতের তালুতে লিখে রেখেছিল পামেলা। সেই সূত্র ধরেই ক্যারাটেকার পামেলার মোবাইলের তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। বালি থানার পুলিশ এবং হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতাতেই খুলে যায় পামেলার মোবাইলের ‘তালা’। নেটমাধ্যমে পামেলার অ্যাকাউন্ট থেকেই সানির পরিচয় জানতে পারেন গোয়েন্দারা। নাম ভাঁড়িয়ে পামেলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল সে। তার পরেই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পামেলার মৃত্যুর কথা জানতে পারার পর থেকেই কিছু দিন মোবাইল বন্ধ রেখেছিল সানি। পুলিশও মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিল। সে ফোন খুলতেই তার হদিশ পান গোয়েন্দারা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সানির বয়স ১৯। সে বিবাহিত। নেটমাধ্যমেই পামেলার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পর সেই পরিচয় গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। পুলিশ এ-ও জানতে পেরেছে, পামেলার কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন সানির স্ত্রী। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কোনও এক দিন সানির স্ত্রী পামেলার ফোন ধরে ফেলেন। তার পরেই দু’জনের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। এ নিয়ে সানির পরিবারে অশান্তিও বাধে। অন্য দিকে, সানির স্ত্রী ফোন ধরায় পামেলাও বুঝতে পারে সানি বিবাহিত। সে-ও সানির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে চায়।

তদন্তকারীদের মতে, এর পর থেকেই ভিন্ন দিকে মোড় নেয় এই ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক। জানা গিয়েছে, পামেলা তার ফোন নম্বর ব্লক করে দিয়েছিল। কিন্তু সানির অন্য নম্বর থেকে তাকে ফোন করত। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা নম্বর থেকে যে পামেলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করত। তদন্তকারীদের দাবি, ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে পামেলার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবিও আদায় করে নিয়েছিল সানি। সেই ছবি দেখিয়েই পামেলাকে সে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে বলে পুলিশের দাবি। সে পামেলার আরও ছবি চাইতে শুরু করে। না দিলে আগের সমস্ত ছবি নেটমাধ্যমে প্রকাশ করার পাশাপাশি পামেলার বাবা-মায়ের কাছেও পাঠানোর হুমকি দেয় সানি। পুলিশ মনে করছে, সেই সব ছবি প্রকাশ্যে আসার ভয়েই গলায় ফাঁস লগিয়ে আত্মহত্যা করে পামেলা।

আরও পড়ুন
Advertisement