tourism

tourism: নৈশ বিনোদনে বাড়বে পর্যটক

লালবাগের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সন্ধ্যার পর পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বিনোদনের ব্যবস্থা থাকলে শহরে আরও পর্যটক আসবেন।

Advertisement
মৃন্ময় সরকার 
লালবাগ শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৩৯
অতিমারির আবহেও পর্যটকদের আনাগোনা থাকে হাজারদুয়ারিতে। তবে দিনভর ভিড়ে গমগম করলেও বিকেলের পরে ফাঁকা হয়ে যায় মিউজ়িয়াম চত্বর।

অতিমারির আবহেও পর্যটকদের আনাগোনা থাকে হাজারদুয়ারিতে। তবে দিনভর ভিড়ে গমগম করলেও বিকেলের পরে ফাঁকা হয়ে যায় মিউজ়িয়াম চত্বর। ফাইল চিত্র।

হাজারদুয়ারি, মোতিঝিল, কাটরা মসজিদ। ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। অভাব নেই পর্যটকেরও। কিন্তু কয়েক দিন জেলায় কাটিয়ে যাবেন, এমন পর্যটক কোথায়! বিকেল হলেই তাঁরা উধাও শহর থেকে। কেন তাঁরা এমন করেন, সমস্যা কোথায় লুকিয়ে, খোঁজ নিল আনন্দবাজার

হেমন্তের হালকা শীতে তেজ কমেছে সূর্যের। মিঠে রোদ গায়ে মেখে ইতিহাসের গন্ধ নিতে পর্যটকদের দল পা রাখছেন জেলায়। সকাল থেকে সারাদিনই পর্যটকদের হইচই লালবাগ শহরে। কিন্তু সূর্যাস্তের পর অস্ত যাওয়া সূর্যের মতোই উধাও পর্যটকের ভিড়। হাজারদুয়ারি, কাটরা মসজিদ, কাঠগোলা বাগানে নিঝুম রাত নেমে আসে অনেক আগেই।

Advertisement

সারাদিন ভিড়। আর সন্ধ্যায় ছবিটা বদলে যায় কেন? লালবাগ শহরে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলেই জানাচ্ছেন, পর্যটকরা যাঁরা আসেন, তাঁদের অধিকাংশই ফিরে যান বাড়িতে। যাঁরা থাকেন, সেই সংখ্যাটা খুবই নগন্য। অথচ, সন্ধ্যার পরেও যাতে লালবাগে পর্যটকরা থাকেন বা বলা ভাল তাঁরা রাত্রিযাপন করেন, সেই ব্যবস্থা করার কথাই সকলের মুখে। তবে তাঁদের এ দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু আজও তা অপূর্ণ থেকে গিয়েছে।

লালবাগের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সন্ধ্যার পর পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বিনোদনের ব্যবস্থা থাকলে শহরে আরও পর্যটক আসবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সন্ধ্যার পর কিছু করার থাকে না বলেই পর্যটকদের অনেকেই হোটেলে শুয়ে,বসে, টিভি দেখে কাটিয়ে দেন। ফলে জেলায় রাত্রিযাপনের ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই ফিরে যান। তবে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই জানান, সন্ধ্যার পর পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য রাজ্য সরকার প্রকৃতিতীর্থ মোতিঝিল তৈরি করেছে। সেখানে আলো এবং ফোয়ারার শো হত আগে। এছাড়া, সাংস্কৃতিক মঞ্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠানও হত। তা দেখার জন্যে পর্যটকরা রাতে এই শহরে থেকে যেতেন। এর ফলে হোটেলগুলির শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ওই ধরনের অনুষ্ঠান হয় না মোতিঝিলে। সেখানে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ডে’ প্রদর্শনী হত। তবে তা-ও িনয়মিত হয় না বলে অভিযোগ। বছরের বেশিরভাগ সময় কোনও না কোনও কারণে ওই শো বন্ধ থাকে।

মুর্শিদাবাদ জেলা হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই বিষয় নিয়ে আমরা অনেকবার প্রশাসনের কাছে দরবার করেছি। মোতিঝিলের ঝর্না এবং ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ নিয়মিত চালু রাখার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কিছুই হয়নি।’’ (চলবে)

আরও পড়ুন
Advertisement