Viral

করোনার ভয়ে এলেন না কেউ, ইদের দিন হুগলিতে হিন্দু পড়শির দেহ সৎকার মুসলিমদের

ছেলে দিশেহারা হয়ে সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু আশপাশের কেউ এগিয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত পাশে এসে দাঁড়ান মুসলিম প্রতিবেশীরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
পোলবা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২১ ১৬:৪২
সৎকারে এগিয়ে এলেন মুসলিম প্রতিবেশীরা।

সৎকারে এগিয়ে এলেন মুসলিম প্রতিবেশীরা। নিজস্ব চিত্র

ধর্মপ্রাণ তাঁরা। শুধু ভুলে যাননি মানবিকতা। তাই প্রতিবেশী হিন্দু পরিবারে মৃত্যুর খবর এল যখন, তাঁরা খুশির ইদের উৎসব থামিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। করোনার ভয়ে কেউ সৎকারের কাজে হাত লাগাতে রাজি হননি। তাই মুসলিম প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলেন ধর্মের সংকীর্ণতা সরিয়ে।

আশিক মোল্লা, গোলাম সুবানী, গোলাম সাব্বার, শেখ সানি-রা হুগলির পোলবা-দাদপুর ব্লকের বাবনান গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার খুশির ইদের নমাজ পড়ে তাঁরা নিজেদের মতোই পালন করছিলেন উৎসব। এরই মধ্যে হঠাৎ খবর এল, পাশের গ্রামের ৭২ বছরের হরেন্দ্রনাথ সাধুখাঁ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মারা গিয়েছেন। গত তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। করোনা পরীক্ষা করার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব চিত্র

এই শোকই একমাত্র শোক নয়। তাঁরা শুনতে পেলেন, করোনা সংক্রমণের ভয়ে কেউ মৃতের বাড়ির চৌকাঠে পা দেননি। একমাত্র ছেলে দিশেহারা হয়ে সাহায্য চেয়েছেন, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি সৎকারের কাজে সাহায্য করতে। মৃতের ছেলে চন্দনের এই অসহায়তার কথা শুনেই উৎসব শিকেয় তুলে পাশে দাঁড়াতে বেরিয়ে পড়েন মুসলিম প্রতিবেশীরা। করোনার ভয় উপেক্ষা করে হাজির হন মৃতের বাড়িতে। নিজেরা খাট বেঁধে, ফুল মালায় সাজিয়ে তোলেন দেহ। চার ভিন্নধর্মী মানুষের কাঁধেই শেষ যাত্রায় যান হরেন্দ্রনাথ সাঁধুখা। শ্মশানেও কাঠ জোগাড় করা থেকে শুরু করে দাহ করার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পিতৃহারা সন্তানের পাশে ছিলেন আশিস, গোলাম, সানি-রা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement