Sukhendu Sekhar Roy

কোচবিহারের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত, ধনখড়ের ইস্তফা চাইল তৃণমূল

রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, প্রশাসনিক সফরে কী করে একজন বিজেপি সাংসদকে নিয়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়? বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২১ ১৬:০৮
তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

কোচবিহারের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের ইস্তফার দাবি তুললেন তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায়। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে রাজ্যপালের প্রশাসনিক সফর ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। জগদীপ ধনখড়ের সফরে রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ছায়াসঙ্গী হওয়ায় রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, রাজ্যপাল তাঁর প্রশাসনিক সফরে কী করে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে গেলেন? দিনহাটায় তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে নিশীথকে পাশে নিয়েই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে শাসানি দিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। গোটা ঘটনা নিয়েই এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।

প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যপালের পদের অযোগ্য জগদীপ ধনখড়। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। তাঁর বক্তব্য, শীতলখুচিতে যে চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে যাননি রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড়কে ‘দিল্লির এজেন্ট’-ও বলেন তিনি। এও বলেন, শীতলখুচিতে গিয়ে হিংসায় ইন্ধন দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি, ‘সঙ্গী’ নিশীথ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘একজন কুখ্যাত সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন উনি। ওসিকে ধমকাচ্ছেন। ওনাকে বরখাস্ত করা উচিত।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবারই রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিজেপি-র অ্যাজেন্ডাকে সফল করতে শীতলখুচি গিয়েছেন রাজ্যপাল। এটা বাংলার পক্ষে ভাল না। বাংলার মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক।’’ তৃণমূলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় বলেছেন, ‘‘রাজ্যপাল এখন হতাশ। তিনি একটি মিশন নিয়ে এসেছিলেন বা তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হাজারো টুইট ও সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যপাল তো মিশন ফেল করছেন। তাই হতাশা কাটাতে বিজেপি নেতাদের নিয়ে এখন জেলা সফরে যাচ্ছেন।’’

ভোটের পর রাজ্যে যে সব এলাকায় রাজনৈতিক হিংসা হয়েছে, সে সব এলাকায় সশরীরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি, গত মঙ্গলবার টুইটে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তার পর রাজ্যপালের সঙ্গে পত্রযুদ্ধে লিপ্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে ‘প্রোটোকল’-এর প্রসঙ্গ টেনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা চিঠিতে ‘সাংবিধানিক বিধি’-র উল্লেখ করেছিলেন রাজ্যপাল। তার পরই কোচবিহার সফরে বেরিয়ে পড়েন ধনখড়। সঙ্গী করেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে। শীতলখুচিও ছিল তাঁর সফর-তালিকায়। শীতলখুচি থেকে তিনি গিয়েছিলেন দিনহাটায়। সেখানে অজয় রায় নামে এক বিজেপি নেতার বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি দিনহাটায় তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহর উপর হামলার পর এই অজয় রায়ের বাড়িতেই হামলা চালায় তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। রাজনৈতিক হামলার শিকার শুধু অজয় রায়ের বাড়িতে যাওয়ায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতদুষ্টতা’র অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ। যা নিয়েও বিতর্ক চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement