উৎসবের সময় অতিরিক্ত পরিশ্রমের পুরস্কার পাচ্ছেন পুলিশ, দমকল, স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী-আধিকারিকেরা। —প্রতীকী ছবি।
বিক্ষিপ্ত ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে রাজ্যের উৎসবের মরসুম। শারদোৎসব দিয়ে শুরু হওয়া এই উৎসবের লক্ষ্মীপূজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং ছটপুজোয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। উৎসবের মরসুমে বড় অংশের সরকারি কর্মচারীরা ছুটি পেলেও সব সরকারি দফতরের কর্মী একটানা ছুটি পান না। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ, দমকল এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উৎসব কাটে কর্তব্যরত অবস্থায়। যদিও পরে তাঁদের বিশেষ ভাবে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু ভাল কাজের পুরস্কার হিসাবে এ বার তাঁদের আরও অতিরিক্ত ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য প্রশাসন।
এমনিতেই নিরলস এই পরিশ্রমের জন্য ফি বছর অতিরিক্ত ১০ দিনের জন্য ছুটি পান জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু সেই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে এ বছর থেকে ১৫ দিন করা হল। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে রাজারহাটে বিরসা মুন্ডার জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানেই পুরস্কার হিসাবে তিনি পুলিশবাহিনীর জন্য অতিরিক্ত ১৫ দিন ছুটির ঘোষণা করেন। কিন্তু নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুধু পুলিশবাহিনীই নয়, দমকল বিভাগ, বিভিন্ন পুরসভার প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের ছুটি না পাওয়া আধিকারিক ও কর্মীরাও সবেতন এই ১৫ দিনের ছুটি পাবেন। নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যাঁরা সরকারের জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন, তাঁদের জন্য সরকারও বাড়তি কিছুর উদ্যোগ নেয়। সেই কারণেই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ছুটি নিজেদের সুবিধামতো নিতে পারবেন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মী তথা আধিকারিকেরা।