Abhijit Gangopadhyay Md Salim

বিচারপতি আর বিজেপি নেতা এক নন! অবসর গ্রহণের পরেই অভিজিৎকে আক্রমণ সেলিমের

মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎ। ইস্তফা দেওয়ার পর বাড়ি ফিরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, আগামী ৭ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ০০:৪২
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। —ফাইল চিত্র।

যে বিচারপতিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন বামপন্থীরা, সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করল সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিজিৎকে আক্রমণ করে বলেন, “বিচারপতি আর বিজেপি নেতা এক নন।”

Advertisement

বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার মিলন সঙ্ঘ মাঠে সন্দেশখালির মানুষের প্রতি অবিচার-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সভা ছিল সিপিএমের। সভার প্রধান বক্তা ছিলেন সেলিম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরকার, সত্যসেবী কর, বাবুল কর-সহ অনেক নেতা। বক্তৃতার মাঝে একাধিক বার অভিজিতের তীব্র সমালোচনা করেন সেলিম। বক্তৃতার মাঝে তিনি বলেন, “বিচারপতি আর বিজেপি নেতা এক নন। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল। চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যার শেষ দেখে ছাড়বেন বলেছিলেন। কিন্তু উনি বিজেপি দেখতে গেলেন। চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর দিকে চেয়ে আশায় ছিলেন। কিন্তু তারা আশাহত হলেন।”

এর পরেই তৃণমূলের সমালোচনায়ও মুখর হন সেলিম। বাম নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “৩৪ বছর রাজত্ব করার পরেও ইডি বা সিবিআই দিয়ে বামপন্থীদের কোনও রকম ভয় দেখানো যায়নি।” তৃণমূল ও বিজেপিকে একত্রে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “যাহা তৃণমূল তাহাই বিজেপি। বিজেপির নেতৃত্ব নেই বলেই তৃণমূল থেকে তারা অন্য নেতাদের ভয় দেখিয়ে হোক বা লোক দেখিয়ে হোক নিজেদের দলে টানছে।” সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদও সেখানে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে সরব হন। তার দাবি, একমাত্র বামপন্থীরাই পারে সন্দেশখালিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে।

সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হলে সেলিম বলেন, “আমরা চাই সত্য উদ্‌ঘাটিত হোক। আদালতের নজরদারিতে যদি তদন্ত হয়, তা হলে তদন্ত সঠিক পথে এগোবে।”

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎ। ইস্তফা দেওয়ার পর বাড়ি ফিরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, আগামী ৭ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, সে কথাও জানান অভিজিৎ। এর পরেই তাঁর সমালোচনায় নামল সিপিএম।

Advertisement
আরও পড়ুন