Manoranjan Byapari And Runa Khatun

তৃণমূল বনাম তৃণমূল: ব্যাপারী লিখলেন, ‘রুনা নাকি ভাঙচুর করছে’ তাঁর কার্যালয়, ‘খেলা জমে যাবে’

বলাগড়ে শুরু হওয়া এই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই বুধবার রাতে মনোরঞ্জনের করা নতুন একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:০৮
Manoranjan Byapari and Runa Khatun

(বাঁ দিকে) মনোরঞ্জন ব্যাপারী এবং রুনা খাতুন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূলে চলা নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যেই হুগলির বলাগড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বনাম নেতৃত্বের একাংশের রাজনৈতিক সংঘর্ষ। নাম না করে তৃণমূল যুবনেত্রী তথা বলাগড়ের জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুনকে ‘ফুলন দেবী’ বলে বুধবার সকালে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মনোরঞ্জন। এই আক্রমণের পরে পাল্টা সুর চড়িয়েছিলেন রুনাও। বলাগড়ে শুরু হওয়া এই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই বুধবার রাতে মনোরঞ্জনের করা নতুন একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমি এখন কলকাতায়। খবর পাওয়া গিয়েছে রুনা খাতুন না কি তাঁর দলবল পাঠিয়ে আমার বিধায়ক কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। এ বার আমার পাল্টা দেওয়ার সময় এসেছে। আসছি আমি বলাগড়ে। এ বার খেলা জমে যাবে।” যদিও তাঁর এই পোস্টের পর রুনার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement

উল্লেখ্য, বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ পোস্টে মনোরঞ্জন তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি লেখেন, “সেই যে— বলাগড়ের ফুলন দেবী! যে সঙ্গে কুড়ি পঁচিশজন সার্ফ শুটার নিয়ে ঘোরে, যে আমাকে মহিপালপুরে জনসভা করে মাটিতে পুঁতে দেবে বলেছে! হয় সে আমাকে সত্যি সত্যিই পুঁতে দেবে, আর তা না হলে আমি তাঁকে তাঁর রাজনৈতিক জীবন থেকে রিটায়ার করিয়ে দেব। দেখব, তাঁর কোলকাতার ‘বাবু’ তাকে কি ভাবে বাঁচায়!’’ নাম না করে এক জনের বিরুদ্ধে বিহিত চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হবেন বলেও সেই ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি। এই পোস্টের বিরুদ্ধে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রুনাও। তিনি জানান, মামলার জন্য যদি বিধায়কের টাকা-পয়সার প্রয়োজন হয়, তাহলে সেই সাহায্য তিনি করবেন।

বুধবারের করা ওই ফেসবুক পোস্টে মনোরঞ্জন আরও বলেন, “নিজের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আমাকে বাধ্য হয়ে দূরে থাকতে হচ্ছে।” কিন্তু কেন তিনি বলাগড় বিধানসভা থেকে দূরে বসে আছেন, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মনোরঞ্জন ফেসবুকে লেখেন, ‘‘সেই কদাকার ঘটনাক্রম নিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি রাত ৮টার সময় আমি ফেসবুক লাইভ করতে চলেছি।’’ দলের একাংশকেও আক্রমণ করেছেন বলাগড়ের বিধায়ক। অন্য দিকে, এই গোটা ঘটনায় বিধায়ককে পাল্টা কাঠগোড়ায় তোলেন রুনা। তাঁর কথায়, ‘‘উনি (মনোরঞ্জন) নিজেই নিজের নামে বলছেন। নিজের গায়ে কাদা ছুড়ছেন। মানসিক সমস্যা আছে ওঁর। উনি মাঝে মধ্যেই কাউকে না কাউকে আক্রমণ করে চলেছেন। আসলে আক্রমণ ছাড়া উনি থাকতে পারেন না।’’

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দলের অন্দরে এই ‘লড়াই’ কি সঙ্কটে ফেলবে তৃণমূলকে? যুবনেত্রী রুনা জানান, এ রকম ভাবার কোনও কারণ নেই। পুরো বিষয়টি দলকে জানানো হয়েছে। দল নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে।

Advertisement
আরও পড়ুন