West Bengal Panchayat Election 2023

‘কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠান,’ বুথ থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন নন্দীগ্রামের শেখ সুফিয়ানের

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মহম্মদপুর-২ পঞ্চায়েতের তারাচাঁদবাড়ে ৬৭ এবং ৬৮ নম্বর বুথে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩ ১০:০৭
TMC leader Sheikh Sufian wants central force at Tara Chand Bar of Nandigram

প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন শেখ সুফিয়ানের। — নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় বুথে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। নিজের গ্রামে এমন পরিস্থিতি দেখে ময়দানে নেমেছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। বিজেপি কর্মী এবং প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে বচসার পর প্রশাসনিক কর্তাদের নিজেই ফোন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলেন সুফিয়ান।

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মহম্মদপুর-২ পঞ্চায়েতের তারাচাঁদবাড়ে ৬৭ এবং ৬৮ নম্বর বুথে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনী রাখার দাবি তুলে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা শনিবার সকালে বুথে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে অশান্তি হতে পারে। ভোটগ্রহণ সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বুথের বাইরে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় ভোটারদের। ওই এলাকারই ভোটার সুফিয়ান। খবর পেয়ে ওই বুথে যান তিনি। কেন ভোটগ্রহণ বন্ধ তা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। ভোটগ্রহণ শুরু করা নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু বাহিনী ছাড়া ভোটগ্রহণ চালু করতে রাজি হননি বিজেপি কর্মীরা।

Advertisement

এর পর সুফিয়ান নিজেই প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করে বাহিনী চাইতে শুরু করেন। তাঁকে ফোনে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিজেপি এবং সিপিএম হামলা করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। আমি এসপি, ডিএমকে বলেছি। কিন্তু কেউ কোনও ফোর্স পাঠাচ্ছে না।’’ এর পর পুলিশের একটি কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। তবে এই ঘটনার জেরে দীর্ঘ ক্ষণ থমকে হয়ে যায় ভোটগ্রহণ।

আরও পড়ুন
Advertisement