Tigress Zeenat

জ়িনত এ বার পৌঁছে গেল পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড়ে! কিছুতেই বাগে আসছে না বাঘিনি, চেষ্টায় বন দফতর

বেলপাহাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা ধরে শনিবার পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানে যখন বাঘটি পৌঁছেছে, তখন ভোরের আলো ফুটে গিয়েছে। জ়িনত এখন রাইকা পাহাড় অঞ্চলে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ঝাড়গ্রামের জঙ্গল পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আর এক জেলায় ঢুকে পড়ল বাঘিনি ‘জ়িনত’। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি হয়ে রবিবার ভোরে বাঘিনি পৌঁছে গিয়েছে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড় এলাকায়। আরও ঘন অরণ্য এবং আরও উঁচু পাহাড়ে চলে যাওয়ায় বাঘটিকে ধরা আরও কষ্টকর হয়ে দাঁড়াল বন দফতরের পক্ষে। যদিও চেষ্টার খামতি নেই। পুরুলিয়া জেলা বন দফতরের আধিকারিক থেকে কর্মীরা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে।

Advertisement

জ়িনত তার উপস্থিতির আভাস দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ঠিকঠাক তার নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য দিকে, বাঘটির গন্তব্য এখন পুরুলিয়া শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ঝাড়গ্রামের সাধারণ মানুষ। বন দফতর সূত্রে খবর, শনিবার রাতে জঙ্গলের রাস্তা ধরে ঝাড়গ্রামের পাহাড় পেরিয়ে পুরুলিয়ার দিকে যেতে শুরু করে জ়িনত। বেলপাহাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা ধরে পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানে যখন বাঘটি পৌঁছেছে, তখন ভোরের আলো ফুটেছে। কলার লোকেশন ধরে তার পিছু ধাওয়া করছেন বেলপাহাড়িতে কর্মরত বন দফতরের কর্মীরা। পুরুলিয়া বন দফতরের অধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিচ্ছেন।

বন দফতরের লোকজন বলছেন, জঙ্গল বা পাহাড় থেকে উন্মুক্ত জায়গায় এলে তবেই বাঘটিকে বাগে আনা সহজ হবে। কিন্তু আপাতত সেই সম্ভাবনা কতটা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তাঁরাও।

ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে ঝাড়খণ্ড ঘুরে শুক্রবার ঝাড়গ্রামে ঢুকে পড়েছিল জ়িনত। শনিবার সকালে খবর পাওয়া যায়, কটাচুয়ার জঙ্গল থেকে কাঁকড়াঝোড় ও ময়ূরঝর্ণার জঙ্গলে ঢুকেছে সে। সেখানে বনকর্মীরা তন্নতন্ন করে খুঁজেও তার হদিস পাননি। তার পর থেকেই জ়িনতের অবস্থান জানতে পারছিলেন না বনকর্মীরা। বন দফতর সূত্রে খবর, বাঘিনির হদিস পেতে জিপিএস ট্র্যাকার হাতে নিয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সন্ধান চালানো হয়েছিল। বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জ়িনতের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়।

জ়িনতের মতো যমুনা নামে আরও একটি বাঘের খোঁজ চলছে। যমুনা এখন রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। জ়িনত এবং যমুনা উভয়কেই আনা হয়েছে মহারাষ্ট্রের তাডোবা অন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে। আড়াই বছর বয়সি যমুনা সিমলিপাল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কুলডিহা অভয়ারণ্যের দিকে ১৫ ডিসেম্বর নাগাদ বেরিয়ে যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন