Potashpur

অভিযোগপত্রে ধর্ষণের চেষ্টা লিখতে রাজি হয়নি পুলিশ! নির্যাতিতার পরিবার প্রশ্ন তুলছে ময়নাতদন্ত নিয়েও

কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভেন্দ্র কুমারের অবশ্য দাবি, ‘‘পরিবারের তরফে যে অভিযোগ এসেছে, তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিয়মমাফিক সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
পটাশপুর শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৪২

—ফাইল চিত্র।

গোড়া থেকেই ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা ও তার জেরে খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। কিন্তু পুলিশ মামলায় ধর্ষণের চেষ্টার ধারা যুক্ত করেনি। জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের চেষ্টার প্রমাণ মিললে, তবেই সেই ধারা যুক্ত করা হবে। ফলে পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখতে পারছে না পূর্ব মেদিনীপুরের নিহত নির্যাতিতার পরিবার। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের আর্জি নিয়ে সোমবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

Advertisement

নিহতের পরিবারের এক সদস্যের দাবি, ‘‘অভিযোগপত্রে ধর্ষণের চেষ্টা লিখতে পুলিশ রাজি হয়নি। ময়নাতদন্তে প্রমাণ মিললে তবেই ওই ধারা যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছে। আপাতত মারধর ও খুনের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।’’ কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভেন্দ্র কুমারের অবশ্য দাবি, ‘‘পরিবারের তরফে যে অভিযোগ এসেছে, তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিয়মমাফিক সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

রবিবার ভোরে ওই নির্যাতিতা মহিলার মৃত্যুর পরে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীর গণপ্রহারে মৃত্যু হয়েছে অভিযুক্ত শুকচাঁদ মাইতিরও। নিহত মহিলার ছেলে ও স্বামী দু’জনেই জেলার বাইরে কাজ করেন। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ফিরেছেন ছেলে। আগাগোড়া রয়েছেন মহিলার মেয়ে, জামাইও। পরিজন ও গ্রামবাসীর আশঙ্কা, পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট লঘু করে দেবে। রবিবার রাতে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিহত মহিলার দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ পরিবার দেহ নিতে অস্বীকার করে। কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়ে এ দিন হাই কোর্টে আবেদনও করা হয়েছে।

এ দিন দুপুরে গ্রামে গিয়ে নিহতের মেয়ে ও আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন কাঁথির বিজেপি সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী। আইনি সহায়তার আশ্বাস দিয়ে সৌমেন্দু বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে মহিলার পরিবার চাইছে, নিরপেক্ষ ভাবে কেন্দ্রীয় হাসপাতালে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত হোক। পরিবারের দাবি মতো যাবতীয় আইনি সহায়তা করা হচ্ছে।’’ নিহত মহিলার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন বাম প্রতিনিধি সৈকত গিরি-সহ অন্যরা। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডার অবশ্য দাবি, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে সকলের আদালতে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। পুলিশের তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে। আমরাও নিহতের পরিবারের পাশে রয়েছি।’’

এ দিন সকালে গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। ঘিরে রাখা গণপিটুনিস্থল ও নিহত মহিলার বাড়ির উঠোন থেকে ভিডিয়োগ্রাফি করে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। গণপিটুনির ঘটনায় এখনও ধড়পাকড় শুরু হয়নি। গণপিটুনিতে হত শুকচাঁদ মাইতির দেহের ময়নাতদন্ত কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement