Saline Controversy

স্যালাইন-কাণ্ডে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যকে

স্যালাইন নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। দু'সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২১
স্যালাইন-কাণ্ডে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট তলব কলকাতা হাই কোর্টের।

স্যালাইন-কাণ্ডে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট তলব কলকাতা হাই কোর্টের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

স্যালাইন নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেও। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। স্যালাইন-কাণ্ডে সোমবার জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। তার মধ্যে একটি জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। দ্বিতীয়টির জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এডুলজি সোমবার হাই কোর্টে জানিয়েছিলেন, এ রাজ্যের এক সংস্থার খারাপ মানের স্যালাইন ব্যবহার করে কর্নাটকে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন রাজ্যের ওই সংস্থাকে কালো তালিকায় পাঠিয়ে দেয় কর্নাটক সরকার। ওই সংস্থার থেকে বরাত নেওয়াও বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এ রাজ্যেও খারাপ স্যালাইন ব্যবহারের পর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে এসেছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আর্জি জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, “সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছি। রাজ্য সরকার সম্ভবত কোনও পদক্ষেপও করছে।”

সম্প্রতি একই দিনে সিজ়ার হওয়া পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। তাঁদেরই এক জন মামনি রুইদাসের (২২) মৃত্যু হয় গত শুক্রবার সকালে। সাত দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে মারা যায় মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন এক প্রসূতি রেখা সাউ। শারীরিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক হওয়ায় রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ওই তিন প্রসূতিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।

Advertisement
আরও পড়ুন