Midnapore By Poll

এই প্রথম উপনির্বাচনের মুখোমুখি মেদিনীপুর 

২০১১ থেকে মেদিনীপুরে তৃণমূলের প্রভাব বেড়েছে। ২০১১ সালের ভোটে এখানে জিতেছিলেন তৃণমূলের মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি।

Advertisement
বরুণ দে
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:১৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিধানসভা উপনির্বাচন আসন্ন মেদিনীপুরে। দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর ভোট। এর আগে কি কখনও উপনির্বাচনের মুখোমুখি হয়েছে মেদিনীপুর, মনে করতে পারছেন না অনেকেই। গত কয়েক দশকের মধ্যে অন্তত এখানে কখনও বিধানসভা উপনির্বাচন‌ হয়নি।

Advertisement

এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের জুন মালিয়া। ২০২১ সালের ভোটে জিতেছিলেন তিনি। জুনকেই এ বার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। জিতেছেন তিনি। লোকসভা ভোটে জেতার পরে নিয়মানুযায়ী বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন জুন। তারপরে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি বিধায়ক-শূন্য হয়ে পড়ে। উপনির্বাচনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। এক সময়ে মেদিনীপুরে সিপিআইয়ের প্রভাব ছিল। সেদিন অবশ্য গিয়েছে। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি শাসনের 'সুযোগ' নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে এখানে জিতেছিলেন সিপিআইয়ের বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি এক সময় সেচমন্ত্রী ছিলেন।

২০১১ থেকে মেদিনীপুরে তৃণমূলের প্রভাব বেড়েছে। ২০১১ সালের ভোটে এখানে জিতেছিলেন তৃণমূলের মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি। ২০১৬ সালেও তিনিই জেতেন। ২০২১ সালে জিতেছিলেন জুন মালিয়া। এর মধ্যে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মারা যান মৃগেন্দ্রনাথ। তখন সামনেই বিধানসভা নির্বাচন ছিল বলে আর উপনির্বাচন হয়নি।

২০০৬ সালের ভোটে মেদিনীপুর থেকে জিতেছিলেন সিপিআইয়ের সন্তোষ রাণা। ২০০১ সালের ভোটে জিতেছিলেন সিপিআইয়ের পূর্ণেন্দু সেনগুপ্ত। ১৯৯৬ সালেও জিতেছিলেন তিনি। ২০০৫ সালের অক্টোবরে মারা যান পূর্ণেন্দু। উপনির্বাচন হয়নি। সামনে বিধানসভা নির্বাচন ছিল বলেই। ১৯৯১ সালের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন সিপিআইয়ের কামাখ্যা ঘোষ। ১৯৮৭ এবং তার আগে ১৯৮২ সালেও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা ভোটে মেদিনীপুর থেকে জিতেছিলেন জনতা পার্টির বঙ্কিমবিহারী পাল। এর আগে ১৯৭২ সালের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন সিপিআইয়ের বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। ১৯৭১ সালের ভোটেও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৯ এবং তার আগে ১৯৬৭ সালের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন কামাখ্যা ঘোষ। তিনিও ছিলেন সিপিআইয়ের।

এর আগে ১৯৬২ সালের ভোটে জিতেছিলেন কংগ্রেসের সামসুল বারি। ১৯৫৭ সালে জিতেছিলেন কংগ্রেসের অঞ্জলি খান। অঞ্জলি নাড়াজোল রাজবাড়ির। অনেকে মনে করাচ্ছেন, অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতকে নাড়াজোলের রাজ পরিবার শিল্প, সংস্কৃতি, শিক্ষার চেতনায় যথার্থ অর্থেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং স্বাধীনোত্তর দেশের রাজনীতিতে এই রাজ পরিবারের প্রত্যক্ষ ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। রানি অঞ্জলির উদ্যোগেই নাড়াজোল রাজবাড়ির কিছু অংশ জুড়ে নাড়াজোল রাজ কলেজ স্থাপিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। আবার বাজল ভোট-যুদ্ধের সাইরেন। একাধিক মহলের মতে, সাধারণ নির্বাচনের চেয়ে উপনির্বাচনে ভোটের হার তুলনায় কম হয়। উপনির্বাচনে ভোটারদের বুথমুখী করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

আরও পড়ুন
Advertisement