Kharagpur Municipality

পুর সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরিতে অমিল জমি, চিকিৎসকও

আপাতত ঠিক হয়েছে শহরের ৪, ৬, ১০, ২৫, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে খোলা হবে ওই কেন্দ্র। সেগুলির মধ্যে ২৫ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:০৯
খড়্গপুর পৌরসভা।

খড়্গপুর পৌরসভা। —ফাইল চিত্র।

বছর কয়েক আগে খড়্গপুর শহরের ৬টি ওয়ার্ডে গড়ে উঠেছিল পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিদিন চিকিৎসা পরিষেবা মেলে সেখানে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা করোনা টিকাকরণে নজির গড়েছিল। এ বার নাগরিকদের আরও উন্নত পরিষেবা দিতে নতুন করে ৬টি ওয়ার্ডে পুর সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলতে চলেছে পুরসভা। তবে এই পরিষেবা দানে অন্তরায় জমি ও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব।

Advertisement

আপাতত ঠিক হয়েছে শহরের ৪, ৬, ১০, ২৫, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে খোলা হবে ওই কেন্দ্র। সেগুলির মধ্যে ২৫ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভবন তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু বাকি দুই ওয়ার্ডে ভবন তৈরির জন্য এখনও জমি হাতে পায়নি পুরসভা। এই পুর সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে রবিবার বাদে প্রতিদিন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। থাকবেন চিকিৎসক, নার্স, কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট।

শহরের ২, ৮, ১১, ১৮, ৩২ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি যে নিয়মে চলে নতুন পুর সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রও সেই নিয়মেই চলবে। মঙ্গলবার ও শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ও অন্যদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে এই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। রবিবার বন্ধ থাকবে। পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ বলেন, “আগে থেকেই আমাদের শহরে ৬টি পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলছে। এ বার আমরা শহরে ৬টি পুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র খুলতে চলেছি। ইতিমধ্যেই দু’টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে বাকিগুলি খোলার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জমিগত সমস্যাও আছে।”

সঙ্কট রয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরও। ইতিমধ্যে যে দু’টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজ শেষ হয়েছে সেগুলি খোলার জন্যও চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মী নেই। বাকি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি চালু হলে সেখানেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী পাওয়ার সম্ভবনা কম। সমস্যার কথা মেনে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, “চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ নিয়ে যে মামলা হয়েছে তাতেই রাজ্য জুড়েই নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। সেই মামলার নিষ্পত্তি হলেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স পাওয়া যাবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন