মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি। —প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে স্যালাইন-কাণ্ডে পাঁচ প্রসূতির মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন প্রসূতিকে নিয়ে কার্যত যমে-মানুষে টানাটানি চলছে। তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তুলনায় শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল রেখা সাউ নামের এক প্রসূতির। মঙ্গলবার তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু দুপুরের দিকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। জ্বর আসায় তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেখার স্বামী সন্তোষ সাউ।
অন্য দিকে, রেখার সদ্যোজাত সন্তান এখনও মেদিনীপুর মেডিক্যালের এনআইসিইউতে ভর্তি। রেখার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সে এখনও বিপন্মুক্ত নয়। তবে মৃত প্রসূতি মামনি রুইদাসের পুত্রসন্তান এখন আগের তুলনায় ভাল আছে বলে জানা গিয়েছে। তার জন্ডিস ধরা পড়েছিল। মামনির স্বামী দেবাশিস দাস বলেন, “ছেলের চিকিৎসা চলছে। জানতে পেরেছি ভাল আছে। কাচের ঘরের মধ্যে রয়েছে বলে দেখতে যেতে পারছি না। তবে বলেছে বুধবার ছুটি দিয়ে দেবে।” মামণির মৃত্যুর পরে ওই শিশুকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল পরিবার। অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরিবারের দাবি, মায়ের দুধ পায়নি বলেই শিশুটির শরীর খারাপ হয়েছে।
রেখা, মামনি, মাম্পি সিংহ, মিনারা বিবি, নাসরিন খাতুন— এই পাঁচ প্রসূতি গত বুধবার সন্তান জন্মের পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। এর পরেই স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রবিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে মৃত মামনি এবং রেখার দুই সদ্যোজাত।