Ceiling Collapsed

স্কুলে ভাঙল চাঙড়, রক্ষা ছাত্রছাত্রীদের

বৃহস্পতিবার রঘুনাথবাড়ি রামতারক হাইস্কুলের একতলার একটি ঘরের ছাদের বিশাল চাঙড় ভেঙে পড়ে। চাঙড়টি শ্রেণি কক্ষের একটি কাঠের বেঞ্চে পড়ে, সেটি পুরোপুরি ভেঙে যায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৩
ভেঙেছে চাঙড়। নিজস্ব চিত্র

ভেঙেছে চাঙড়। নিজস্ব চিত্র

শতবর্ষ পুরনো স্কুল। স্কুল ভবনের বয়সও ৮০ বছর ছাড়িয়েছে। সেই স্কুলেই একতলার ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ল। বরাত জোরে রক্ষা পেল পড়ুয়ারা। তবে বিপজ্জনক ওই স্কুল ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পঠনপাঠন চলায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে শিক্ষক— সকলেই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রঘুনাথবাড়ি রামতারক হাইস্কুলের একতলার একটি ঘরের ছাদের বিশাল চাঙড় ভেঙে পড়ে। চাঙড়টি শ্রেণি কক্ষের একটি কাঠের বেঞ্চে পড়ে, সেটি পুরোপুরি ভেঙে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই সময় ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়ারা শ্রেণি কক্ষের বাইরে ছিল। তাই বরাত জোরে পড়ুয়ারা রক্ষা পেয়ে যায়। তবে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। আতঙ্কিত অভিভাবকরাও।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৯১৫ সালে রঘুনাথবাড়ি রামতারক হাইস্কুল স্থাপিত হয়। পাঁশকুড়ায় স্কুলটির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। গত বছর মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এই স্কুলের দু'জন ছাত্র স্থান করেছিল। একজন ষষ্ঠ এবং অন্যজন দশম হয়েছিল। এরকম একটি স্কুলে বর্ষাকালে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের ক্লাস করতে হয় মাথায় ছাতা দিয়ে। কারণ, স্কুল ভবনের জীর্ণ দশা। রঘুনাথবাড়ি রামতারক হাইস্কুলের পুরনো ভবনটির বয়স ৮০ বছরেরও বেশি। বেশ কয়েক বছর আগে ভবনটির একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। একটু একটু করে দেওয়ালের পলেস্তারা খুলে পড়তে শুরু করেছে। বর্ষার সময় ছাদ চুইয়ে জল পড়ে ক্লাসরুমে। দোতলা ওই স্কুল ভবনে রয়েছে ১২ টি ক্লাসরুম। পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকার কারণে স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়ারা বর্ষায় ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করেন।

প্রধান শিক্ষক সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘পুরনো স্কুল ভবনটি আট দশকেরও বেশি পুরনো। অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। মেরামতির জন্য প্রশাসনের সমস্ত স্তরে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই বিপদ মাথায় করেই ক্লাস করতে হচ্ছে।’’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভাশিস মিত্র বলছেন, ‘‘স্কুল ভবনের যে অংশটি বিপজ্জনক, আপাতত সেটিকে বাদ রেখে বাকি অংশে ক্লাস করার
জন্য বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement