অঙ্গনওয়াড়ির খাবারে শুঁয়োপোকা! নিজস্ব ছবি।
মিড ডে মিলের খাবারে টিকটিকি, আরশোলা, ইঁদুর পাওয়া নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রাজ্য জুড়ে। সেই আবহে এ বার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে (যার সরকারি নাম পরিপূরক পুষ্টি আহার) মিলল শুঁয়োপোকা! সেই খিচুড়ি আবার খেয়েও ফেলেছে বেশ কয়েক জন। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকু়ড়া পুরসভায় ৫নং ওয়ার্ডে নারানদা এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খাবারে শুঁয়োপোকা থাকার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে গিয়েছেন অনেকে।। তবে চিকিৎসকেরা জানান, এই মুহূর্তে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।
অঙ্গনওয়াড়ির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সুজাতা সাউ জানান, রোজকার মতো বৃহস্পতিবারও ওই কেন্দ্রে তৈরি হওয়া খিচুড়ি খেয়েছেন ২২১ জন। পরে এক মহিলা এসে জানান, তাঁর খিচুড়িতে একটি আস্ত শুঁয়োপোকা মিলেছে। সুজাতার কথায়, ‘‘তখনই ওই মহিলাকে খিচুড়ির টিফিন স্কুলে ফেরত আনতে বলি। তবে তত ক্ষণে অনেকেই সেই খিচুড়ি খেয়ে নিয়েছিলেন। এর পরেই গ্রামের মহিলাদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে হাজির হন।’’
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্রও। তিনি বলেন, “খাবারে শুঁয়োপোকা পড়েছে শুনেই ছুটে এসেছি। চিকিৎসকদের সঙ্গেও পরামর্শ করে যার যেমন প্রয়োজন, তেমন প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হয়েছে। আইসিডিএস সেন্টারে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। আগামী দিনে যেন এমনটা না হয়, সেই বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছি।’’
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে টিকটিকি মিলেছিল। জেলাশাসক পরিদর্শনে এসে পাঁশকুড়ারই একটি স্কুলের রান্নাঘরে কুকুরকে ঘুরতে দেখে রাঁধুনিদের কড়া ধমকও দিয়েছিলেন।
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারকে মিড ডে মিল হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। যা সঠিক নয়। মিড ডে মিল প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের দেওয়া হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দেওয়া খাবারকে সরকারি ভাষায় ‘পরিপূরক পুষ্টি আহার’ বলা হয়। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)