Buddhadeb Bhattacharjee Death

একটি বিস্ফোরণ ও শিল্পায়নে আঁধার 

শালবনিতে জিন্দলদের জমি দেবে রাজ্য, এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠবে এখানে, সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০০৭-এই।

Advertisement
বরুণ দে
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৫
০৩ মে ২০১১ - শেষবার ঝাড়গ্রামে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নির্বাচনী জনসভায়।

০৩ মে ২০১১ - শেষবার ঝাড়গ্রামে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নির্বাচনী জনসভায়। —ফাইল চিত্র।

শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠুক, খুব চেয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০৮ সালের অক্টোবর। সবে সিঙ্গুর ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন রতন টাটা। পরের মাসেই শালবনিতে জিন্দলদের প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানার শিলান্যাস হয়েছিল। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর। শালবনিতে সেই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তৎকালীন কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান, জিন্দল কর্তা সজ্জন জিন্দল প্রমুখ। শালবনিতে জিন্দলদের জমি দেবে রাজ্য, এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠবে এখানে, সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০০৭-এই। কিন্তু শিলান্যাসের দিনই হল ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ। লালগড় আন্দোলনের সেই শুরু। বাকিটা ইতিহাস। জিন্দলদের ইস্পাত কারখানার শিলান্যাস করে শালবনি থেকে মেদিনীপুরে ফিরছিলেন বুদ্ধবাবু। কলাইচণ্ডী খালের কাছে আচমকা বিকট বিস্ফোরণ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কনভয়ে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি। কমবেশি জখম হয়েছিলেন ৬ জন পুলিশকর্মী। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বুদ্ধবাবু। তদন্তে উঠে আসে মাওবাদী যোগসাজশ। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ এবং পরবর্তী আন্দোলনে সব ওলটপালট করে দেয়।

Advertisement
আরও পড়ুন
Advertisement