Ram Mandir At Jhargram

‘রামসেনা’ বানাবে রামের মন্দির

রামসেনা সংগঠনটি সঙ্ঘ পরিবারের শাখাও নয়। মধূসূদন এক সময় শিবসেনার জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন।

Advertisement
কিংশুক গুপ্ত
 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:১৭
মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচকে ধ্বজা।

মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচকে ধ্বজা। —নিজস্ব চিত্র।

ঝাড়গ্রামে তৈরি হবে শ্রীরামচন্দ্রের মন্দির। এমন ভাবনার বাস্তব রূপ দিতে উদ্যোগী হয়েছে ‘রামসেনা’ নামে একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি মধুসূদন সিংহ জানাচ্ছেন, কোনও রাজনীতির রঙে আটকে থাকবে না তাঁদের মন্দির। রামের মন্দির হবে সর্বসাধারণের জন্য।

Advertisement

রামসেনা সংগঠনটি সঙ্ঘ পরিবারের শাখাও নয়। মধূসূদন এক সময় শিবসেনার জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। প্রথম জীবনে মধুসূদন মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালাতেন। এখন জমির ব্যবসা করেন। প্রতি বছর ইদ, দুর্গাপুজো ও বড়দিনের সময় শিবির করে দরিদ্রদের দান খয়রাতিও করেন মধুসূদন। এ হেন মধুসূদনের রামের সুমতি কেন? মধুসূদন বলছেন, ‘‘পুরুষোত্তম রামচন্দ্রকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। আমরা রামকে নিয়ে বিভাজনের বিপক্ষে।’’ তিনি জানাচ্ছেন, জেলার মধ্যে মানিকপাড়া ও রাধানগরে রামের দু’টি ছোট মন্দির আছে। তাই ‘রাম সেনা’ জেলা শহরে রামের দৃষ্টিনন্দন মন্দির তৈরিতে উদ্যোগী হচ্ছে। মধুসূদন জানাচ্ছেন, এ জন্য শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি নিজেই ৫ কাঠা জমি দিচ্ছেন। সেই জমিতে গড়ে তোলা হবে স্বপ্নের রামমন্দির। সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে রাজস্থান থেকে বিগ্রহ আনা হবে। আজ সোমবার মধুসূদনের উদ্যোগে অরণ্যশহরে সর্বধর্মের যুবকদের নিয়ে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাইক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। শহরে কান পাতলে শোনা যায়, সকলের সঙ্গে মধুসূদনের সখ্যতা রয়েছে। তবে তিনি এখন সক্রিয় রাজনীতি করেন না। তবে ‘রাম সেনা’ সংগঠনের এমন উদ্যোগে উজ্জীবিত হিন্দুত্ববাদীরা। সঙ্ঘের শাখা হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা সংযোজক বাপ্পা বসাক বলছেন, ‘‘শহরে রামের মন্দির প্রয়োজন। ওই মন্দির তৈরির জন্য আমরাও সহযোগিতা করব।’’

সোমবার জেলায় দিনভর গেরুয়া শিবিরের ঠাসা কর্মসূচি। সরাসরি অযোধ্যা থেকে জায়ান্ট স্ক্রিনে সম্প্রচার। তার মধ্যে পৃথক ভাবে রামসেনার উদ্যোগে সব ধর্মের যুবকদের নিয়ে বাইক রালির আয়োজন উস্কে দিচ্ছে নানা জল্পনা।

ঝাড়গ্রামে রামমন্দির হওয়ার প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলছেন, ‘‘ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্যকে নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। শ্রীরামচন্দ্রকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপকুমার সরকার বলছেন, ‘‘অন্ন-বস্ত্র-আবাস-শিক্ষা-স্বাস্থ্য সহ মানুষের দৈনন্দিন মূল সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আমরা আন্দোলন করি। মন্দিরকে কেন্দ্র করে রাজনীতি ও পাল্টা রাজনীতিতে আমরা নেই।’’ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলছেন, ‘‘রামমন্দির হওয়ার কথা শুনে যাঁরা ঐতিহ্য নষ্টের কথা বলছেন, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে তোষণের রাজনীতি করেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement