দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সামনে কড়া নিরাপত্তা। —নিজস্ব চিত্র।
রোদ ঝলমলে আকাশ। হালকা হালকা শীতের আমেজ। সকাল থেকে দিঘার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড়। কাগজের কাপে চা হাতে নিয়ে সমুদ্র দেখছেন অনেকে। নিজস্বী তোলার হিড়িকও রয়েছে। কিন্তু নতুন যে বিষয়টি সবার নজরে পড়েছে, তা হল খানিক ক্ষণ অন্তর সমুদ্রে চক্কর কাটছে স্পিড বোট। আবার ক্ষণে ক্ষণে সিভিল ডিফেন্স, নুলিয়া থেকে পুলিশবাহিনী তদারকি করছে।
ওল্ড দিঘার বিশ্ববাংলা গেট ছাড়িয়ে বাঁ দিকে খানিকটা এগিয়ে গেলে দেখা যাচ্ছে পুলিশের বিশাল ব্যারিকেড। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের কারণেই এই ব্যবস্থা। ওল্ড দিঘার সৈকতাবাসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের দিঘা সফরে রয়েছেন তিনি। সে জন্য সুরক্ষা বাহিনীর তিন হাজারেরও বেশি কর্মীর ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে দিঘা। জগন্নাথ মন্দিরের সামনেও বিশাল পুলিশবাহিনী। আর খানিক বাদেই সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে মমতার।
এ বার মুখ্যমন্ত্রীর দিঘা সফরের মূল উদ্দেশ্য নির্মীয়য়মাণ জগন্নাথ মন্দিরের কাজকর্ম পরিদর্শন। বুধবার বেলা ১২টার পর হোটেল থেকে মন্দিরের দিকে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তার আগেই মন্দির যাওয়ার রাস্তাঘাট চকচকে করে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে সাফাইকর্মীরা সৈকতের সর্বত্র সাফাই করেছেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রী যে জায়গায় অবস্থান করছেন সেই জায়গা বাদ দিয়ে সমূদ্রসৈকতের অন্যত্র পর্যটকদের ঘোরাফেরায় কোনও বিধিনিষেধ নেই। সমুদ্র আপাতত শান্ত থাকায় পর্যটকদের স্নানেও কোনও নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়নি। তবে দিঘার বিস্তীর্ণ এলাকা সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিনিয়ত নজরদারি চলছে সমুদ্রে। তা ছাড়া সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকদের উপর নজরদারি চালানোর জন্যও বেশ কয়েকটি বোট রয়েছে। আর সেই সব জলযান চালাতে নুলিয়াদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ)।