Abu Taher

নিজেদের ‘জিম্মায়’ পেল না সিবিআই, তৃণমূল নেতা তাহেরকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

বুধবার হলদিয়া আদালতে অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তাহেরকে তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৬

—ফাইল চিত্র।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ধৃত নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরকে নিজেদের হেফাজতে পেল না সিবিআই। বুধবার হলদিয়া আদালতে অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তাহেরকে তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাহেরের আইনজীবী মনসুর আলম জানান, পরিবর্তে তাঁর মক্কেলকে আগামী ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ অক্টোবর।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, এই মামলায় বাকি ১১ অভিযুক্তেরও আদালতে হাজিরার দিন ছিল বুধবার। তাঁরা অবশ্য সকলেই জামিনে মুক্ত। মনসুর বলেন, “আজ আদালত সকলের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।”

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরের দিন অর্থাৎ ৩ মে নন্দীগ্রাম রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সে দিন চিল্লোগ্রামের বিজেপি সমর্থক দেবব্রত মাইতি আক্রান্ত হন। আঙুল ওঠে শাসকদলের দিকে। দেবব্রতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর ‘বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে মামলা ওঠে কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের নির্দেশে এই সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। দেবব্রত খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় শেখ সুফিয়ান, আবু তাহেরের মতো নন্দীগ্রামের এক ঝাঁক তৃণমূল নেতার। সুফিয়ান হাই কোর্টের রক্ষাকবচ পেলেও অন্যান্য অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। তবে এই পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁরা সকলেই জামিনে মুক্তি পান। অন্য দিকে, গ্রেফতারি এড়াতে প্রথম থেকেই তাহের সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ। তাঁর নামে হুলিয়া জারি হয়। তার পরও আগাম জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দরজাতেও কড়া নাড়েন তৃণমূল নেতা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই গত শনিবার হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তাহের।

আরও পড়ুন
Advertisement