Blood Donation Camp

লক্ষ্য রক্তদানে সচেতনতা, শিবির বাড়িতেই   

সহযোগিতায় ছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বেলদা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ০৮:৪৮
শিবির চলছে। ছেলেকে পাশে নিয়ে পিয়ালী। নিজস্ব চিত্র

শিবির চলছে। ছেলেকে পাশে নিয়ে পিয়ালী। নিজস্ব চিত্র

বেলদা: জন্মের একবছর পর থেকেই ছেলে থ্যালাসেমিয়াতে আক্রান্ত। রক্তের প্রয়োজন। সব সময়ে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত পাওয়া যায় না। তাই রক্তদান নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাড়িতেই রক্তদান শিবির করল পরিবার। শনিবার বেলদার মহম্মদপুর এলাকায় ছিল ওই আয়োজন।

Advertisement

নারায়ণগড় ব্লকের বেলদার মহম্মদপুরের বাসিন্দা পিয়ালী দাস মাইতি মূলত নিজের উদ্যোগে ও পশ্চিম মেদিনীপুর থ্যালাসেমিয়া হিমোফিলিয়া গার্ডিয়ান সোসাইটির পরিচালনায় ওই আয়োজন করেছিলেন। সহযোগিতায় ছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। পিয়ালী জানান, একমাত্র সন্তান অঙ্কিত এক বছর দুই মাস বয়স থেকেই থ্যালাসেমিয়াতে আক্রান্ত। এখন তার বয়স দশ। বড়মাতকাতপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সে। ছেলেকে সুস্থ রাখতে প্রায়ই রক্তের প্রয়োজন হয়। মাঝে মধ্যেই হাসপাতালে গিয়ে হতাশ হতে হয়েছে। বিশেষ করে গরমের সময়।

তিন জেলায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকেরা মিলে থ্যালাসেমিয়া হিমোফিলিয়া গার্ডিয়ান সোসাইটি নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন। পিয়ালী নিজেও সেই সংগঠনের সদস্য। শনিবারের রক্তদান শিবিরের আয়োজনেও তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মানিক মণ্ডলের কথায়, ‘‘এমন পরিবারগুলো নিজেদের লড়াই নিজেরা লড়ছে। তাদের পাশে থাকলে তাদের লড়াইটা একটু সহজ হবে।’’

বেলদায় পিয়ালীর স্বামী অমিতের একটি পান দোকান আছে। সেই দোকানের আয়েই চলে সংসার, ছেলের চিকিৎসা। রক্তদাতার সংখ্যা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। তিনি জানান, কয়েকদিন আগেই মাইক প্রচার করে এলাকায় জানানো হয়েছিল। যদিও তারপরেও এ দিন মাত্র ১৬ জন রক্ত দিয়েছেন। তাঁর আবেদন, ‘‘শুধু আমার ছেলে নয়, যেসব পরিবারে এমন রোগী আছেন তাদের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement