Suicide Attempt

পরিবারে অশান্তির জেরে ভাগীরথীতে ঝাঁপ! পুলিশি তৎপরতায় প্রাণ বাঁচলেও ধৃত জঙ্গিপুরের বধূ

পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকায় এই চরম পদক্ষেপ করার চেষ্টা করে ধৃত ১৭ বছরের বধূ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ১৪:৪০
Image of Bridge over the Ganges

সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ জঙ্গিপুর এবং রঘুনাথগঞ্জের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতুতে উদ্দেশ্যহীন ভাবে এক বধূকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন কর্তব্যরত রঘুনাথগঞ্জ ট্র্যাফিক গার্ডের সদস্যেরা। —নিজস্ব চিত্র।

জঙ্গিপুরের সেতু থেকে ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করল এক নাবালিকা বধূ। যদিও সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের ওই সেতুতে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছে সে। তবে আত্মহত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকায় এই চরম পদক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে সে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ জঙ্গিপুর এবং রঘুনাথগঞ্জের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতুতে উদ্দেশ্যহীন ভাবে এক বধূকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন সেখানে কর্তব্যরত রঘুনাথগঞ্জ ট্রাফিক গার্ডের সদস্যেরা। কিছু বুঝে ওঠার আগে কয়েক মুহূর্তেই সেতুর রেলিংয়ে উঠে পড়ে সে। এর পর সেখান থেকে ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তার আগেই ট্রাফিক গার্ডের কর্মী মুস্তাফা মিয়া শেখ তাকে উদ্ধার করেন। এর পর ওই বধূকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে রঘুনাথগঞ্জ থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুস্তাফা বলেন, ‘‘সকালে সেতুর উপরে ডিউটি করছিলাম আমরা। হঠাৎ দেখলাম, এক বধূ রেলিং টপকে গঙ্গায় লাফ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পিছন দিক থেকে গিয়ে জাপটে ধরে উদ্ধার করি।’’

Advertisement

এই ঘটনার পর থেকেই মুখে কলুপ এঁটেছে ১৭ বছরের ওই বধূ। যদিও প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, সাংসারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, জঙ্গিপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দীনপথনগরে বধূর বাপের বাড়ি। বছরখানেক আগে লক্ষ্মীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বীরেন্দ্রনগরে ১৭ বছরের প্রেমিককে বিয়ে করেছিল সে।

এলাকাবাসীদের দাবি, গোড়ায় ওই বিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের আপত্তি ছিল না। তবে স্বামীর কাজকারবার না থাকায় কিছু দিন পরে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। দেড় মাস আগে সেই অশান্তির জেরে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিল ওই বধূ। সেখানেও নানা গঞ্জনা শুনতে হয় তাকে। সেই অবসাদেই আত্মহত্যার চেষ্টা বলে দাবি। তবে বধূর স্বামীর মন্তব্য, ‘‘দেড় মাস আগে মা-বাবা এসে স্ত্রীকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। তার পর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি ও। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement