Kasba Attempt to Murder

সুশান্তকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক, বিহার থেকে অভিযুক্ত স্কুটারচালককে ধরল পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক এলাকারই বাসিন্দা। তবে তাঁকেও বিহার থেকেই ধরা হয়েছে। অভিযোগ, ঘটনার দিন শুটার যুবরাজকে পার্ক সার্কাস এলাকার বন্ডেল গেটের কাছ থেকে স্কুটারে তুলেছিলেন ওই যুবক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৪৪
(বাঁ দিকে) কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। স্কুটারচালক এবং আততায়ী (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। স্কুটারচালক এবং আততায়ী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। বিহারের বৈশালী থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে কসবাকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম লক্ষ্মণ শর্মা ওরফে ‘ছোটু’। মঙ্গলবার ভোরে বৈশালী জেলার চাকেয়াজ গ্রাম থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছেন কলকাতা পুলিশের এআরএস বিভাগের তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, কসবাকাণ্ডে ধৃতদের জেরায় ছোটুর নাম উঠে এসেছে। শীঘ্রই তাঁকে স্থানীয় আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়া হবে।

গত ১৫ নভেম্বরের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শুটার যুবরাজকে আগেই ধরেছিল পুলিশ। তবে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছিলেন স্কুটারচালক। এ বার সেই স্কুটারচালককেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক এলাকারই বাসিন্দা। ঘটনার দিন শুটার যুবরাজকে পার্ক সার্কাস এলাকার বন্ডেল গেটের কাছ থেকে স্কুটারে তুলে নেন ছোটু। এ ছাড়াও, ঘটনার আগে ছোটু গুলজ়ারের সঙ্গে গিয়ে এলাকা রেকি করে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। ছোটুর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই কসবাকাণ্ডে বিহার-যোগের দাবি করে আসছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, বিহারের বাসিন্দা এক ব্যক্তির সাহায্যেই ‘শুটার’ ভাড়া করা থেকে শুরু করে অস্ত্র জোগাড় করা হয়েছিল। এমনকি, ধৃত ছোটু স্থানীয় বাসিন্দা হলেও তাঁকেও বিহার থেকেই ধরেছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে আরও কেউ রয়েছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

গত ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ির সামনেই সুশান্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করেন এক আততায়ী। আততায়ী স্কুটারে চেপে এসেছিলেন। কিন্তু গুলি না-চলায় প্রাণে বাঁচেন সুশান্ত। পরে স্কুটারচালক পালিয়ে গেলেও সুশান্ত এবং তাঁর অনুগামীরাই ধরে ফেলেন ওই শুটার যুবরাজ সিংহকে। পরে ধরা পড়েন ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ আফরোজ় খান ওরফে গুলজ়ার, আহমেদ আলি নামে এক ট্যাক্সিচালক, ঘটনার ‘অন্যতম মূলচক্রী’ ফুলবাবু এবং আলি। খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল বাজেয়াপ্ত করা হয়। আটক করা হয় স্কুটারটিও। তবে সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনার ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে দাবি তদন্তকারীদের। এখনও তাঁদের খোঁজ চলছে।

Advertisement
আরও পড়ুন