কুম্ভমেলায় ভিড় প্রয়াগরাজে। —ফাইল চিত্র।
কুম্ভমেলায় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন মুকুন্দপুরের বৃদ্ধা। তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে গেলেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা এক যুবক। ওই যুবকের এই পরোপকারিতায় মুগ্ধ পুলিশ এবং ওই বৃদ্ধার পরিবার। তাঁকে পুলিশের তরফে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নান করতে গত ১০ জানুয়ারি মেয়ে রুমা হালদারের সঙ্গে প্রয়াগরাজে গিয়েছিলেন ৭৭ বছরের বৃদ্ধা কৃষ্ণা সরকার। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি গঙ্গায় স্নান করার পর ভিড়ের মধ্যে মেয়েকে খুঁজে পাননি তিনি। মেয়েকে দেখতে না-পেয়ে গাছতলায় বসে কাঁদতে থাকেন তিনি। সেই সময় সেখানে ছিলেন ইসলামপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় কুন্ডু। তিনি ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মেয়েকে হারিয়ে বিহ্বল হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধা। নিজের সম্পূর্ণ ঠিকানা বলতে পারছিলেন না তিনি। কেবল জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি কলকাতার মুকুন্দপুরে। এটুকু তথ্য সম্বল করেই ওই বৃদ্ধাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন সঞ্জয়। তার পর নিয়ে যান পূর্ব যাদবপুর থানায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও নিজের পুরো ঠিকানা বলতে পারেননি কৃষ্ণা। শেষমেশ স্থানীয় হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে কৃষ্ণার ছবি পোস্ট করে তাঁর ঠিকানা খোঁজার চেষ্টা করে পুলিশ। বৃদ্ধার ছবিও এলাকাবাসীকে দেখিয়ে ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়। তাতেই মেলে সাফল্য। এক ব্যক্তি বৃদ্ধার ঠিকানা জানান।
থানায় এসে কৃষ্ণাকে নিয়ে যান তাঁর পুত্র দেবাশিস সরকার। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার সহায় হয়ে ওঠা সঞ্জয় পেশায় ঘটক। বিভিন্ন মানুষকে পাত্র-পাত্রীর খোঁজ দিয়ে থাকেন। তবে সবাই মুগ্ধ সঞ্জয়ের বিরল এই কাজে। পুলিশের একাংশের মত, অচেনা-অজানা বৃদ্ধার জন্য কেউ ইসলামপুর থেকে কলকাতায় আসবেন, তা এই সময়ে প্রায় ভাবাই যায় না।