Fake Aadhar Card

৪০ বছর আগে মৃতের নামে আধার কার্ড বানিয়ে তাঁরই জমি হাতানোর ফন্দি! হুগলিতে গ্রেফতার

হুগলির পোলবা কোটালপুরের বাসিন্দা আব্বাস আলি নায়েক। নিজেকে গোলাম মোর্তাজা বলে দাবি করে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের কাছে একটি ২১ শতক জমি বিক্রির চেষ্টা করেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৪
Aadhar Card

—প্রতীকী চিত্র।

জাল আধার কার্ড বানিয়ে ৪০ বছর আগে মৃতের নামে থাকা জমি বিক্রির ফন্দি করেছিলেন। পুলিশের জালে ধরা পড়লেন এমনই এক অভিযুক্ত। কোথা থেকে তিনি জাল আধার কার্ড তৈরি করিয়েছেন, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। হুগলির দাদপুর থানার মহেশ্বরপুরের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, হুগলির পোলবা কোটালপুরের বাসিন্দা আব্বাস আলি নায়েক। তিনি নিজেকে গোলাম মোর্তাজা বলে দাবি করে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের কাছে একটি ২১ শতক জমি বিক্রির চেষ্টা করেন। ওই জমির বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।

অন্য দিকে, আসল গোলাম মোর্তাজা মারা গিয়েছেন বছর ৪০ আগে। তাঁর ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘মহেশ্বরপুরে হাইরোডের পাশে দুটি দাগ নম্বরে মোট ২১ শতক জমি রয়েছে আমার বাবার নামে। সেই জমি কিনতে ইচ্ছুক এক জনকে নিয়ে আমার সঙ্গে এক ব্যক্তি দেখা করতে আসেন।’’ রফিকুল জানান, তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করবেন, এমন কথা কাউকে বলেননি। তাই ওই দুই ব্যক্তির আগমনে অবাক হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যেই এক জন আব্বাস। তাঁর কাছ থেকে যে আধার কার্ড পাওয়া যায় সেটিতে নাম রয়েছে রফিকুলের বাবা। ওই প্রৌঢ়ের কথায়, ‘‘বাবার নামে আধার কার্ড। কিন্তু ছবি রয়েছে আব্বাস আলি নামে ওই ব্যক্তির। আমার বাবা মারা গিয়েছেন প্রায় চল্লিশ বছর আগে। পুরো বিষয়টিতে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাদপুর থানায় অভিযোগ করি। তার পরে জানা গেল পরিকল্পনার কথা।’’

পুলিশ জানিয়েছে, আধার জাল করে অন্যের জমি বিক্রির পরিকল্পনা করছিলেন অভিযুক্ত। ওই অভিযোগে আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। কোথা থেকে জাল আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে, ওই চক্রে আরও কেউ যুক্ত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক সন্দেহ, ওই ভাবে জাল কাগজপত্র দেখিয়ে ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করতেন প্রতারক। তার পর জমি দেখিয়ে অগ্রিম টাকাপয়সা নিয়ে গা ঢাকা দিতেন।

Advertisement
আরও পড়ুন