Mamata Banerjee

বুধ ও বৃহস্পতি রাতে রাজ্যে প্লাবনের আশঙ্কা, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে বলব: মমতা

মমতা জানান, বৃহস্পতিবার আরও বড় বান আসতে পারে সমুদ্রে। নদীতে ৫ ফুট উঁচু বানের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২১ ১৫:০৪
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঘূর্ণঝড়ের পরে এ বার রাজ্যে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভরা কোটালে প্লাবনের আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘বুধবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে উপকূল এলাকায় প্লাবন আসতে পারে। ত্রাণ শিবিরে যাঁরা আছেন, তাঁরা এখনই বাড়ি ফিরবেন না।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যে নদীর কাছাকাছি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। সাধারণ মানুষকেও বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি নিজের বাড়িতেও তাই করেছেন। গঙ্গার আশপাশের এলাকায় সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জলমগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ যেন বিপদের কারণ না হয়ে ওঠে সেই জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ও সিইএসসি যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে, সেই নির্দেশও দেবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। পুলিশকেও সতর্ক করেছেন তিনি।

মমতা জানান, বৃহস্পতিবার আরও বড় বান আসতে পারে সমুদ্রে। সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। নদীতে ৫ ফুট উঁচু বানের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যাঁরা ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন তাঁদের সেখানেই থেকে যেতে বলার পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘‘নদীর আশপাশের এলাকায় কারও বাড়িতে জল ঢুকে যেতে পারে এমন সম্ভাবনা দেখা দিলে কাছাকাছি কোনও ক্লাব বা ভাল জায়গায় আশ্রয় নেন।’’ এই ব্যাপারে পুলিশকেও সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

Advertisement

মমতা জানিয়েছেন, রাজ্যে ১ কোটি মানুষের ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যে ১৩৪টি নদী বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়-বৃষ্টিতে। অনেক কৃষি জমিতে নোনা জল ঢুকে গিয়েছে। এর ফলে ফসলের ক্ষতিও হয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘দিনে অনেক এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। বুধবার রাতে সেটা আরও বাড়তে পারে। তাই সকলকে রাতটা সতর্ক থাকতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement