মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
উপনির্বাচনের প্রতিশ্রুতি মতো জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। পুজোর আগে তাতে সিলমোহর দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভাও। কিন্তু এখনও বিষয়টি আদালতে পড়ে রয়েছে নানাবিধ প্রশাসনিক কাজের জন্য। সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সে বিষয়ে উদ্যোগী হতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধূপগুড়িরটা কোর্টে পড়ে আছে। মুখ্যসচিবকে বলব দেখতে। আমরা আমাদের (রাজ্য সরকারের) কাজ করে দিয়েছি।’’
উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ধূপগুড়িকে চলচি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা করার কথা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফল ঘোষণার দু’দিন পরেই গত ১১ সেপ্টেম্বর নবান্ন থেকে ধূপগুড়িকে নতুন মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর তা পাশ হয় রাজ্য মন্ত্রিসভায়। যে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে।
গত ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী জনসভা থেকে অভিষেক ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করার সময়সীমা বেঁধে দেন। জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করা হবে। তার পর থেকেই তৃণমূলের প্রচারের পালে হাওয়া লাগে। শাসকদলের একাংশের দাবি, মানুষের মুখে মুখে মহকুমার প্রচারে অনেকটাই লাভবান হয় দল। বিজেপির হাতে থাকা ধূপগুড়ি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। বিধায়ক হন নির্মলচন্দ্র রায়।
প্রসঙ্গত, উপনির্বাচনের সময়ে ধূপগুড়ি শহরে তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থাও খুব একটা সুবিধার ছিল না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ধূপগুড়ি শহর এলাকায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে উপনির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। এই পরিস্থিতিতে শাসক থেকে বিরোধী— সকলেই মেনে নিয়েছে, মহকুমা ঘোষণাই ‘তুরুপের তাস’ হয়েছে তৃণমূলের। ধূপগুড়ি ও বানারহাট— এই দু’টি ব্লক নিয়ে পৃথক মহকুমা হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। সোমবার সে বিষয়েই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দিলেন মমতা।