রাজনীতির টানাপড়েনে সার কথা কত দূর পৌঁছবে? ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন এসেই বিরোধী দলের সহযোগিতা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বললেন। তবে শর্তও চাপিয়ে দিলেন। বুধবার বিধানসভায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি সার প্রসঙ্গের উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের তরফে সারের দাবিতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মে মাসে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনও তাদের তরফে সাড়া পাওয়া যায়নি। আমি বিরোধী দলকে বলব এই বিষয়ে উদ্যোগী হতে।’’
অধিবেশন শেষে শুভেন্দু নিজের প্রতিক্রিয়ায় এ প্রসঙ্গে কিছু শর্তের কথা জানিয়েছেন। বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী বলার পর তিনি বলতে চেয়েছিলেন, তবে তাঁদের সময় দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সার নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন, এ কথা বলেন। আমাদের সারের ঘাটতি আছে। বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সহযোগিতা চাই। মুখ্যমন্ত্রী যখন আমাদের সাহায্য চেয়েছেন, আমরা নিশ্চয়ই করব।’’ এর পরেই শর্ত দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো চিঠি হয় রাজ্য বিজেপির সভাপতি কিংবা বিরোধী দলনেতাকে দিতে হবে। তা হলে আমরা রাজ্যে সারের চাহিদা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে পারি।’’
একই সঙ্গে তিনি সার নিয়ে রাজ্য সরকার ও শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘রাজ্যে সারের ঘাটতি আছে। কিন্তু সার নিয়ে রাজ্যে কালোবাজারি হচ্ছে। ১২০০ টাকার সার কৃষকদের কিনতে হচ্ছে ২৫০০ টাকা দিয়ে। কালোবাজারি বন্ধ করুক রাজ্য সরকার। আমরা এ বিষয়ে বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব এনে আলোচনা চেয়েছিলাম। আমাদের বলতে দেওয়া হয়নি।’’