সোমবার দুপুরে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘রাজভবন অভিযান’। শামিল সাধারণ মানুষও। —নিজস্ব চিত্র।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে শামিল হয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও। আট থেকে আশি— সব বয়সের মানুষকেই আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হল না। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন নাগরিক সমাজের একটি অংশ। বিচারের দাবিতে স্লোগান তুলছেন তাঁরাও। জাতীয় পতাকা হাতেও মিছিলে শামিল হয়েছেন কেউ কেউ।
সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলে জাতীয় পতাকা হাতে সংহতির বার্তা। —নিজস্ব চিত্র।
অভিমুখ রাজভবন। মিছিল ইতিমধ্যে ধর্মতলায় কেসি দাসের সামনে থেকে পার করে রাজভবনের দিকে এগোতে শুরু করেছে। মিছিলে শামিল হয়েছেন অভিনয় জগতের একাধিক পরিচিত মুখও। মিছিলে হাঁটছেন দেবলীনা, চৈতীরাও।
সোমবার দুপুরে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চ থেকে রাজভবনের অভিমুখে এগোচ্ছে মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
সিবিআইয়ের প্রতি অনাস্থার কথা গত কয়েক দিন ধরেই বলে আসছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার সেই দাবিকেই সামনে রেখে রাজভবন অভিযান ডেকেছেন তাঁরা। মিছিলের সামনের সারিতে হাঁটছেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার।
সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার দুপুর ‘রাজভবন অভিযান’ জুনিয়র ডাক্তারদের। —নিজস্ব চিত্র।
জুনিয়র ডাক্তারদের ‘রাজভবন অভিযান’-এ শামিল হতে বর্ধমান থেকে এসেছেন এক বৃদ্ধা। পায়ের সমস্যা। হুইল চেয়ারে বসেই সোমবার রাজভবন অভিযানে শামিল হয়েছেন তিনি। গত বেশ কয়েক দিন ধরেই অনশনমঞ্চে আসছেন বৃদ্ধা। এর আগে তিনি নিজে পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন।
সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে বর্ধমান থেকে এসেছেন বৃদ্ধাও। —নিজস্ব চিত্র।
জুনিয়র ডাক্তারদের ‘রাজভবন অভিযান’ শুরু হওয়ার আগে ধর্মতলা চত্বরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে পুলিশ। জমায়েত বা মিছিল যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে এগোয়, তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ধর্মতলা থেকে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে রাজভবনের দিকে এগোবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। যান চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য রাস্তার একাংশ ব্যারিকেডও করে রাখা আছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে মিছিলে শামিল সাধারণ মানুষেরা। —নিজস্ব চিত্র।
দুপুর ১টা থেকে জমায়েত শুরু হয়েছিল ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চের সামনে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সংহতির বার্তা নিয়ে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের ভিড় জমেছে ধর্মতলায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘রাজভবন অভিরাজ
সোমবার দুপুরে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘রাজভবন অভিযান’-এর আগে অনশনমঞ্চের সামনে জমায়েত সাধারণ মানুষের। —নিজস্ব চিত্র।
রাজভবন অভিযানের ডাক দিলেও, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের সাক্ষাৎ হবে কি না— তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেবাশিস জানান, তাঁরা রাজভবনে ইমেল করেছিলেন। কিন্তু অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ আগে পর্যন্তও কোনও জবাব আসেনি। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ না পেলে, রাজভবনে স্মারকলিপি দিতে আসতে চান তাঁরা।
দেবাশিস জানান, মূলত সিবিআইয়ের প্রতি অনাস্থার কথাই রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরতে চান তাঁরা। তিনি বলেন, “দশ দফা দাবির পাশাপাশি সিবিআইয়ের প্রতিও আমাদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। সিবিআইয়ের প্রতি আমাদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। সেই দিকটি জানানোর জন্য আমরা রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছি।”
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। পরে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানান, তাঁরা কোন পথ ধরে এগোবেন— সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্যই পুলিশ কথা বলতে গিয়েছিল। অনশনমঞ্চ থেকে রাজভবনের দূরত্ব খুবই কম। সে ক্ষেত্রে ঘোষিত এই কর্মসূচির জন্য আলাদা করে পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছেন দেবাশিস। ধর্মতলায় কেসি দাসের ধার দিয়ে এগোনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার এই নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার দুপুরে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। ধর্মতলার অনশনমঞ্চের সামনেই জমায়েত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।