(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলেশ যাদব (ডান দিকে)। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
২১ জুলাইয়ের সভার সভাপতি হিসাবে সুব্রত বক্সীর নাম প্রস্তাব করলেন অরূপ বিশ্বাস। সমর্থন করলেন ফিরহাদ হাকিম। আনুষ্ঠানিক ভাবে সভা শুরু হল।
কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন অখিলেশ যাদব। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে যাচ্ছেন তিনি।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে ধর্মতলার পথে রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের সভায় যাচ্ছেন তিনি।
সকাল থেকে ধর্মতলায় চলছে রোদবৃষ্টির খেলা। কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামছে। ছাতা খুলতে হচ্ছে সভাস্থলে জড়ো হওয়া কর্মী-সমর্থকদের। পরমুহূর্তেই আবার খটখটে রোদ উঠছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে মঞ্চে।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চে যাওয়ার আগে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা কোনও আত্মতুষ্টি দেখাতে চাই না। আরও ভাল কাজ করতে হবে। নিবিড় জনসংযোগের নির্দেশ নেতৃত্ব দেবেন। দিল্লিতে বাংলার প্রভাব সুদৃঢ় করতে বার্তা দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে শ্রদ্ধা করেন অখিলেশ যাদব। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে নিশ্চিত ভাবে তিনি আসছেন।’’
ধর্মতলায় শুরু হল ২১ জুলাইয়ের সভা। মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। গান গাইছেন শিল্পীরা। বেলা ১২টার পর মঞ্চে শুরু হবে নেতৃত্বের ভাষণ।
ধর্মতলা রুটের বাস চলছে না, বন্ধ একাধিক রাস্তা। ফলে ট্রেন এবং মেট্রোয় ভিড় বেড়েছে। রবিবার সকাল থেকেই ট্রেনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভিড়। সকাল ৯টার পর মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে। স্টেশনে স্টেশনে থিকথিকে ভিড়।
তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতিতে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে রবিবার সকাল সকাল বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট করলেন তিনি। লিখেছেন, ‘‘বাংলার মানুষ বার বার বাংলা-বিরোধীদের দেখিয়ে দিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা নত হবেন না, কারও সামনে আত্মসমর্পণ করবেন না।’’
শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন এলাকা থেকে তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকেরা মিছিল করে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন থেকেও জেলার সমর্থকেরা মিছিল করে ধর্মতলা পৌঁছচ্ছেন।
সুন্দরবন থেকে নদীপথে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। গন্তব্য ধর্মতলা।
২১ জুলাই শহিদ দিবসের সভায় বাংলার সকল মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়ে শনিবার রাতে পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সমাবেশ শুরুর আগে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা ভোজের আয়োজন করেছেন। মেয়ো রোডের ধারে চলছে রান্না। ভাত, আলুভাজা থেকে শুরু করে মাংস— নানা পদের আয়োজন করা হয়েছে। খাওয়াদাওয়া সেরে সমাবেশে যাবেন তাঁরা।
গত দু’বছর ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি পর্বে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল, এ বার তা দেখা যাচ্ছে না। প্রস্তুতিতে তিনি ছিলেন না। শনিবার পর্যন্ত ধর্মতলায় দেখা যায়নি অভিষেককে। তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন। শুক্রবার ফিরেছেন কলকাতায়। তবে একুশের প্রস্তুতিতে থাকেননি।
ধর্মতলার মঞ্চে তৃণমূলের সভার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। সকাল থেকে চলছে গান। সব ক’টি মাইক ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করে নিচ্ছেন আয়োজকেরা।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কর্মী-সমর্থকেরা। হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনে তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি ভিড় চোখে পড়ছে রবিবার সকাল থেকেই। বর্ধমান থেকে সুন্দরবন কিংবা পুুরুলিয়া থেকে নদিয়া, ট্রেনে বাসে রওনা দিয়েছেন কর্মীরা। গন্তব্য ধর্মতলা।
রবিবার তৃণমূলের সমাবেশ উপলক্ষে কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ভোর থেকে রাস্তায় কিছু বাস চললেও তা সংখ্যায় কম। সকাল ৭টা থেকে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে গাড়ির সংখ্যা আরও কমে যেতে পারে।
শহর জুড়ে তৃণমূলের সমাবেশ উপলক্ষে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। ধর্মতলার কাছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে রয়েছে পুলিশ। সকাল ৭টা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে ধর্মতলামুখী ভিড়। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বহু মানুষ ধর্মতলার দিকে যাচ্ছেন। মঞ্চের সামনে রাত থেকেও জড়ো হয়েছেন অনেকে।