তারকাদের-আলোয়: জঙ্গিপুরে তৃণমূলের প্রচার সভায় সোহম, রাজ চক্রবর্তী, জুন। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
শেষ দিনের নির্বাচনী প্রচারে উত্তেজনার পারদ আরও চড়ল মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে। রবিবার প্রকাশ্য সভা থেকে কংগ্রেস প্রার্থীকে আক্রমণ করেছিলেন শমসেরগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। সোমবার শেষ প্রচারে তার কড়া জবার দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী জইদুরও। প্রচারে এসে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও।
কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান আগেই দাবি করেছিলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর এখানে ভোটে বুথ দখলের চেষ্টা হবে। সোমবার শেষ বেলায় শমসেরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে এসে অধীর বললেন, “ভোটের সময় শমসেরগঞ্জে নাকি বোমাবাজি হবে, বুথ দখল হবে। বোমা নাকি তৈরি হচ্ছে?’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভোটের দিন বুঝিয়ে দেব। পুলিশ এখানে দালালি করবে জানি। এখানকার পুলিশকেও বলে গেলাম, নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ না হয়, শাস্তির হাত থেকে কেউ বাঁচবেন না। ৩০ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের মস্তানিকে এই শমসেরগঞ্জে গুঁড়িয়ে দিয়ে দুর্নীতির অবসান ঘটাব।” তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল বলেন, ‘‘এ সব কোনও কথারই কোনও ভিত্তিই নেই। অকারণ আক্রমণ করছেন অধীর।’’
কংগ্রেসের প্রচারে অবশ্য এ বার তারকা প্রার্থী কেউই আসেননি। তবে সভায় জইদুর বলেছেন, “তৃণমূলকে খারাপ দল ভাবি না। কংগ্রেসকেও খারাপ মনে করি না। কিন্তু কিছু লোকের ভাবনা ও কাজ খারাপ। আমার ৪ ভাইয়ের পরিবারের কারও বিরুদ্ধে একটি খারাপ কাজের প্রমাণ দিতে পারলে, তাকে পরিবার থেকে ছুড়ে ফেলব। কিন্তু প্রমাণ দিতে না পারলে, যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা প্রকাশ্যে সে কথা মেনে নেবেন তো?”
গত কয়েক দিন ধরেই শমসেরগঞ্জে তৃণমূল ও কংগ্রেস প্রার্থীর মধ্যে এই ভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ চলছে। এতে তৃণমূলেরই ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন দলের বহু নেতাই। ফরাক্কার বিধায়ক তথা শমসেরগঞ্জের বাসিন্দা তৃণমূলের মনিরুল ইসলাম বলছেন, “নির্বাচনে লড়াইয়ের অধিকার সকলের আছে। তাই বলে প্রকাশ্য সভায় একটি নামী পরিবারের বিরুদ্ধে এ ভাবে কুৎসা করা কোনও মতেই সমর্থন করা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কুরুচিকর পোস্ট হচ্ছে, তাতে ক্ষতি হচ্ছে।’’ তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল বলেন, ‘‘কুৎসা করতে আমারও ভাল লাগে না। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থীই আগে শুরু করেছেন, তাই আমাকে উত্তর দিতে হয়েছে।’’