রাজ্য সরকার বাসচালকের মোবাইল থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে ওই পরিষেবা শুরু করতে চায়। —ফাইল চিত্র।
সরকারি অ্যাপ ‘যাত্রী সাথী’কে বাণিজ্যিক সংস্থার অ্যাপের মতো সমতুল পেশাদারিত্বে গড়ে তুলতে চায় রাজ্য সরকার। যাতে ওই অ্যাপ থেকে পরিবহণ সংক্রান্ত একাধিক পরিষেবার হদিস এক ছাতার নীচে পান যাত্রীরা। বছর দেড়েক আগে পরিষেবা শুরুর সময় থেকে এখনও পর্যন্ত যাত্রী সাথী অ্যাপের মাধ্যমে ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাবের প্রায় ৬১ লক্ষ ট্রিপ সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রায় ৭০ হাজার চালক ওই অ্যাপ থেকে ১৬৬ কোটি টাকা আয় করেছেন। প্রাথমিক এই সাফল্যের উপরে ভর করে হলুদ ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব ছাড়াও বাস এবং ভবিষ্যতে ভেসেলের পরিষেবাকে এই অ্যাপের আওতায় আনতে চায় রাজ্য। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
মন্ত্রী আরও জানান, সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরুতে বিমানবন্দর-কেন্দ্রিক ১২টি রুটের বাসের হদিস জানানোর ভাবনা রয়েছে। বিমানবন্দর ছুঁয়ে চলা সাধারণ এসি এবং ভলভো বাসগুলির খোঁজ পাওয়া ছাড়াও অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার সুবিধা মিলবে যাত্রী সাথী অ্যাপে। ওই সব রুটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য কোন বাস ধরতে হবে, যাত্রীরা সেই খোঁজ ছাড়াও অনলাইনে টাকা মিটিয়ে নির্দিষ্ট নম্বরের বাসের কিউআর কোড নির্ভর টিকিট কাটতে পারবেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে পাইলট প্রকল্প হিসাবে এই পরিষেবা শুরু করতে চায় রাজ্য।
পরের ধাপে যাত্রী সাথী অ্যাপের আওতায় বেসরকারি বাসকেও যুক্ত করা হবে। যাত্রীদের কাছে বাস চলাচলের তথ্য নির্ভুল ভাবে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন বাসস্টপে এলসিডি মনিটর বসাতে চায় রাজ্য। যেখান থেকে যাত্রীরা বাসের সম্ভাব্য সময় জানতে পারবেন। প্রসঙ্গত, নিউ টাউনে এই প্রযুক্তি নিখুঁত ভাবে প্রয়োগের জন্য জিপিএস ছাড়াও আরএফআইডি (রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিভাইস) নির্ভর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে, যাত্রী সাথীর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বাসচালকের মোবাইল থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে ওই পরিষেবা শুরু করতে চায়। এর জন্য বিভিন্ন বাসমালিক সংগঠনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার পরিবহণমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একাধিক বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণ দফতর এবং অ্যাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা।