পরীক্ষায় বসতে পারবে তৃতীয়, ষষ্ঠ এবং নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা। —ফাইল চিত্র।
গোটা দেশে স্কুলপড়ুয়াদের পড়াশোনার মান কেমন, তা জানতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক দেশ জুড়ে ‘ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভে’ (ন্যাস) করে তাদের বাছাই করা কিছু স্কুলে। শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, পড়াশোনা সংক্রান্ত সেই জাতীয় সমীক্ষা হতে চলেছে আগামী ৪ ডিসেম্বর।
রাজ্যের স্কুলগুলি এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভের পরীক্ষায় বসতে পারবে তৃতীয়, ষষ্ঠ এবং নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা। তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেবে ভাষা, অঙ্ক এবং আমাদের চারপাশের পৃথিবী— এই তিনটি বিষয়ের উপরে। নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেবে ভাষা, অঙ্ক এবং সমাজবিজ্ঞানের উপরে। তৃতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষার সময়সীমা ৯০ মিনিট। নবম শ্রেণির সময়সীমা দু’ঘণ্টা।
কোন কোন স্কুলকে এই পরীক্ষায় শামিল করা হবে, তা আগে থেকে জানানো হয় না। এর আগে ন্যাস-এ বসেছে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানিয়েছেন, একটি স্কুল থেকে একটি মাত্র ক্লাসেরই পরীক্ষা নেওয়া হয়। অর্থাৎ, কোনও স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিকে যদি পরীক্ষায় ডাকা হয়, তা হলে সেই স্কুলের ষষ্ঠ বা নবম শ্রেণি সে বছর ওই পরীক্ষায় বসবে না। অন্য দু’টি শ্রেণির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। এ বার কলকাতা থেকে ২৭টি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির, ২৪টি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এবং ৩২টি স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেবে।
পরীক্ষার দিন পরীক্ষকেরা স্কুলে এসে তৃতীয়, ষষ্ঠ বা নবম শ্রেণির যে কোনও ৩০ জন পড়ুয়াকে নির্বাচন করে পরীক্ষায় বসতে বলবেন। পরীক্ষায় থাকবে এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন)। পরীক্ষা দিতে হবে ওএমআর শিটে। শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, প্রতিটি স্কুলের পড়ুয়াদেরই এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। পরীক্ষার দু’-এক দিন আগে কোন কোন স্কুলকে পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হল, তা জানানো হবে।
সমস্ত স্কুলেই পড়ুয়াদের এখন ওএমআর শিটে কী ভাবে পরীক্ষা দিতে হয়, তা শেখানো হচ্ছে। শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, এই পরীক্ষার ফলাফল দেখে কয়েক মাস পরে দেশ জুড়ে স্কুলশিক্ষার মানের উপরে সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করবে শিক্ষা মন্ত্রক।