Minor Girl Abuse

নাবালিকাকে বার বার ধর্ষণ, বিক্রির চেষ্টায় দোষী সাব্যস্ত দম্পতি

২০১৪ সালের বড়তলা থানার সেই মামলায় বুধবার ওই দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করলেন কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টের বিচারক ইন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায় মিত্র।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:০১
দোষী সাব্যস্ত হওয়া স্বামীর নাম শেখর সামন্ত, স্ত্রীর নাম প্রতিমা সামন্ত।

দোষী সাব্যস্ত হওয়া স্বামীর নাম শেখর সামন্ত, স্ত্রীর নাম প্রতিমা সামন্ত। —প্রতীকী চিত্র।

যৌনপল্লিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রথমে ১৬ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে এক দম্পতি। তার পরে তাকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে অপহরণকারী পুরুষটি। যৌনপল্লিতে কিশোরীকে বিক্রি করারও চেষ্টা হয়। স্বামীর এই সমস্ত অপরাধে তাকে মদত দেয় স্ত্রী। ২০১৪ সালের বড়তলা থানার সেই মামলায় বুধবার ওই দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করলেন কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টের বিচারক ইন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায় মিত্র।

Advertisement

দোষী সাব্যস্ত হওয়া স্বামীর নাম শেখর সামন্ত, স্ত্রীর নাম প্রতিমা সামন্ত। তাদের বাড়ি সোনারপুরে। এ দিন প্রতিমার কোলে ছিল তাদের এক বছরের সন্তান। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই জামিনে থাকা ওই দম্পতিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। শিশুসন্তান-সহ তাদের নিয়ে যাওয়া হয় জেল হেফাজতে। আজ, বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রীর সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা।

বিচার ভবনের মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি দীপঙ্কর কুণ্ডু জানান, ২০১৪ সালের মে মাসে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে শেখর ও প্রতিমা। উদ্দেশ্য ছিল, তাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া। অপহরণ করার পরে ওই নাবালিকাকে শিয়ালদহ এবং হাওড়ার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। সেই সময়ে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে শেখর। এর পরে নাবালিকাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যায় শেখর ও প্রতিমা। তখন সন্দেহ হওয়ায় দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি বড়তলা থানায় গোটা বিষয়টি জানায়। পুলিশ এসে তদন্ত করে ওই দম্পতিতে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে।

এই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সৈকত পাণ্ডে বলেন, ‘‘এই গোটা অপরাধে শেখরকে মদত দিয়েছিল প্রতিমা। শেখর এবং প্রতিমার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ, নারী পাচার, ষড়যন্ত্র প্রভৃতি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়া দম্পতির বিরুদ্ধে পকসো আইনেও মামলা রুজু করা হয়।’’ এই মামলায় ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রের খবর।

Advertisement
আরও পড়ুন