আরজি করে পৌঁছল আধাসেনা। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি করে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশাল দল। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই দায়িত্বগ্রহণ করতে চলেছে তারা। আধাসেনার ওই দলে রয়েছেন বহু মহিলা জওয়ানও। আরজি করের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এখানেই ব্রিফিং করে তাঁদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। সিআইএসএফ জওয়ান সাধারণত মোতায়েন থাকে বিমানবন্দর, খনি এলাকা, বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। সরকারি হাসপাতালে সিআইএসএফ মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়ে সেখানকার নিরাপত্তার বিষয়টিকেও বিমানবন্দর বা খনি এলাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আরজি করের মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য সিআইএসএফ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরেই বুধবার সকালে আরজি করে যান সিআইএসএফ-এর কর্তারা। নেতৃত্বে ছিলেন বাহিনীর ডিআইজি কে প্রতাপ সিংহ। এর পর আরজি কর থেকে লালবাজারে যান তাঁরা। বুধবার রাতে ফের হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিআইএসএফ-এর কর্তারা। তখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক দফা আলোচনা করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, কোথায় কত কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে, বুধবার রাতেই তার ছক কষে নেওয়া হয়েছে। সাধারণত এক কোম্পানি বাহিনীতে ৮০ থেকে ১২০ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকেন। আরজি করে থাকবে দুই কোম্পানি বাহিনী। অর্থাৎ, থাকবেন এক সুপারিন্টেন্ডেন্ট-সহ প্রায় ১৫১ জওয়ান।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই আরজি কর-সহ উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশের অন্য হাসপাতালগুলিতেও। এর মাঝেই গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি করে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর করা হয় জরুরি বিভাগে। এর পরেই হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।