সতর্কতা: মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শপিং মলে আসা ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে। রবিবার, দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি শপিং মলে। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবারের সকালে কোচিতে পর পর বিস্ফোরণের পরেই কলকাতায় বাড়ল পুলিশি নিরাপত্তা। পুলিশের তরফে একাধিক জনবহুল এলাকায় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি, একাধিক শপিং মল কর্তৃপক্ষের তরফেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এ দিন সকালে কেরলের কোচিতে পর পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন কনভেনশন সেন্টারের মধ্যে একাধিক বিস্ফোরণে এক জনের মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যা ৩০-এর বেশি। সেই বিস্ফোরণের পরেই কলকাতার একাধিক জায়গায় নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। শহরের একাধিক জনবহুল স্থান, শপিং মল চত্বরে বাড়ানো হয় সুরক্ষা। ছুটির দিনে এমনিতেই রাস্তায় লোকজন কম থাকেন। তবে, বিকেলের দিকে বিভিন্ন শপিং মল থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট-সহ শহরের একাধিক জায়গায় সাধারণত ভিড় বাড়ে। তারই মধ্যে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলাকে কেন্দ্র করে বিদেশি পর্যটকেরাও এখন শহরে। কয়েক দিন বাদে ভারতের খেলা রয়েছে ইডেনে। তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ লালবাজারের পুলিশকর্তারা। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের জনবহুল স্থানগুলিতে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি, বিভিন্ন স্থানে সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরাও নজরদারিতে ছিলেন। একাধিক শপিং মলের তরফেও এ দিন সকালের পর থেকে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে দেখা যায়। যাঁরা এ দিন শপিং মলে গিয়েছেন, তাঁদের দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করতেও দেখা গিয়েছে। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি শপিং মলের ম্যানেজার দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সকালে বিস্ফোরণের ঘটনা শোনার পরেই আমরা নিরাপত্তারক্ষীদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিই। সেই মতো ব্যবস্থাও করা হয়।’’
পুলিশের তরফে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা করা হলেও একাধিক জায়গায় ঢিলেঢালা মনোভাবের ছবিও নজরে এসেছে। পুলিশকেও দেখা গিয়েছে, নিরাপত্তার দিকে খেয়াল না রেখে নিজেদের মধ্যে গল্পে মেতে থাকতে। যদিও লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘এমনিতেই বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে শহরে নিরাপত্তার একাধিক বন্দোবস্ত রয়েছে। তবু আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছি না। শহর সুরক্ষিত রাখতে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’