Presidency University

১৮ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও প্রেসিডেন্সির ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’! হিন্দু হস্টেল নিয়ে ফের আন্দোলনে আবাসিকেরা

হিন্দু হস্টেলের আবাসিকদের দাবি, হস্টেলের সমস্যার তালিকা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে আবাসিকদের অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৩:৩২
Residents of Hindu Hotel of Presidency University started agitation on the demand of basic amenities

হিন্দু হস্টেলের সমস্যা নিয়ে আবাসিকদের অবস্থান। —নিজস্ব চিত্র।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হস্টেলে একাধিক সমস্যার কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আবার সরব আবাসিকেরা। ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’কে ১৮ ঘণ্টার ধরে ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন হস্টেলের আবাসিকেরা। মঙ্গলবার রাত থেকে চলছে এই অবস্থান বিক্ষোভ।

হিন্দু হস্টেলের আবাসিকদের দাবি, হস্টেলের সমস্যার তালিকা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ কোনও রকম পদক্ষেপ করেননি বলে আবাসিকদের অভিযোগ। অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে হস্টেলের ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বন্ধ রয়েছে। মেস চালু করার জন্যও লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আবাসিক পড়ুয়ারা। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি।

Advertisement

আবাসিকদের অভিযোগ, হিন্দু হস্টেলের ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড ২০১৫ থেকে বন্ধ। এর ফলে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল প্রায় ২০০ ছাত্র হস্টেলে থাকার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি, হস্টেলের শয্যা ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হলেও মেসে খাবারের গুণমানের উন্নতি হয়নি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও ওয়াইফাইয়ের মতো সাধারণ সুযোগ-সুবিধাগুলি আবাসিকদের প্রদান করা হচ্ছে না।

হস্টেলের আবাসিকেরা জানিয়েছেন, এই সব সমস্যার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাওয়া হলে ‘ওয়েলফেয়ার কমিটি’র সঙ্গে বৈঠকের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ বৈঠকে উপস্থিত হননি বলেও তাঁদের অভিযোগ। অভিযোগ, মঙ্গলবার আবার বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলের সমস্যা নিয়ে বৈঠকের দাবি জানালে কর্তৃপক্ষের তরফে বৈঠকে বসতে অস্বীকার করা হয়। এর পরেই আন্দোলনে নেমে অবস্থান কর্মসূচিতে শামিল হন হিন্দু হস্টেলের আবাসিকেরা। ঘেরাও করা হয় ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’কে।

আবাসিকদের দাবি, হিন্দু হস্টেলের মেস ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে হবে। মেসের ছাত্রেরা নিজের থেকে খরচ চালাতে অপারগ। তাই মেসের সমস্ত খরচের ভর্তুকিও (মেস কর্মীদের বেতন এবং গ্যাসের ভর্তুকি) দিতে হবে কর্তৃপক্ষকেই। অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল নন, এমন পড়ুয়াদের কথা ভেবে খুলে দিতে হবে হস্টেলের ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড। একই সঙ্গে ডিন ওফ স্টুডেন্টস, কর্তৃপক্ষের অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য এবং হস্টেল আবাসিকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘হস্টেল ওয়েলফেয়ার কমিটি’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন আবাসিকেরা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, হস্টেলে যত দ্রুত সম্ভব ওয়াইফাই লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলেও আবাসিকেরা দাবি জানিয়েছেন। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, যত ক্ষণ না তাঁদের দাবি পূরণের ব্যাপারে কোনও সদুত্তর মিলছে তত ক্ষণ পর্যন্ত ঘেরাও কর্মসূচি চলবে।

প্রসঙ্গত, হিন্দু হস্টেলে বিভিন্ন সমস্যার অভিযোগ এনে ২০১৮ সাল থেকেই সরব প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এর আগেও একাধিক বার আন্দোলনে শামিল হয়েছেন হস্টেলের আবাসিকেরা। কিন্তু কোনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement